বুধবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

নিভৃতচারী দেশপ্রেমিকের নীরব প্রস্থান

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৫:০৪ এএম, ১২ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পুরোটা সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন। নিজের ক্যারিয়ারের চেয়ে দেশপ্রেমকে প্রাধান্য দিয়েছেন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া এই মানুষটি।

ডা. জাফরুল্লাহর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। তার বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। পিতামাতার দশ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাবার চাকরির সুবাদে ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণ হন তিনি।

তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টায় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গ্রামে ফিরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ড হাসপাতালটি গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে গড়ে তোলেন কুমিল্লায়। পরে সেটা স্থানান্তর করেন ঢাকার সাভারে। এ ‘গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র’ নামটি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে সেবা দিতে প্যারামেডিকেল শিক্ষা দিয়ে এতে মাঠ পর্যায়ের জনগণকে সম্পৃক্ত করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

এ বিষয়ে ১৯৭২ সালে ধারণাপত্র প্রকাশ করেন তিনি। যা ১৯৭৮ সালে কাজাকিস্তানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যালমাটা ঘোষণায় স্বীকৃতি পায়। তিনিই প্রথম দেশে গ্রামীণ স্বাস্থ্যবীমা চালু করেন।

সবার জন্য সুলভমূল্যে ওষুধ নিশ্চিত করতে তিনি প্রণয়ন করেন ওষুধ নীতি। যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের বর্তমান ওষুধ শিল্প। ১৯৮২ সালে প্রণীত ওষুধ নীতির অন্যতম রূপকার ছিলেন প্রতিভাবান এই চিকিৎসক।