রোববার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৫ ১৪৩২   ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে যা করবেন

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

বাচ্চাদের শুধুমাত্র অনিয়মিত মলত্যাগ না করলেই কোষ্ঠকাঠিন্য হবে তা নয়। বরং অনেক শিশুরাই প্রতিদিন মলত্যাগ করছে অথচ তা স্বাভাবিক নয়, সাধারণত একেই কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। তাই অনেক অভিভাবকই সন্তানের কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ বুঝতে পারেন অনেক দেরিতে।

আবার অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে ছোট বয়স থেকেই বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়াতে চান না। কিন্তু তাতে শিশুর কষ্ট বাড়তেই থাকে। তাই সন্তানের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কোন বয়স থেকে সমস্যা হতে পারে

সাধারণত দেড়-দু বছরের মধ্যে শিশুরা স্বাভাবিক খাবার খেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তখন থেকেই শুরু হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা এই সমস্যায় বেশি ভোগে।

তবে সময়মতো চিকিৎসা না করলে দশ বছর পর্যন্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চলতেই থাকে। বাচ্চারা মাতৃদুগ্ধ খাওয়া যখন থেকে কমিয়ে দেয়, তখন এই সমস্যা হতে পারে। তবে অনেক বাচ্চা মাতৃদুগ্ধ পানের সময়ও নিয়মিত মলত্যাগ করে না, তাই একে ঠিক কোষ্ঠকাঠিন্য বলা যাবে না।

কারণ সেই সময় বাচ্চা নিয়মিত মলত্যাগ না করলেও যখনই মলত্যাগ করে তা স্বাভাবিকই হয়। আর চিকিৎসকদের পরিভাষায়, কোষ্ঠকাঠিন্য হলো শক্ত মল হওয়া, অনেক দিন পর পর মলত্যাগ। কিন্তু যদি সন্তান দিনে দু-তিনবার মলত্যাগ করলেও তা স্বাভাবিকের থেকে শক্ত হয় তাহলে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা শুরু না করলে শিশুদের খিদে চলে যায়, পেট মাঝে মাঝেই ব্যথা করে, পেট শক্ত হয়ে ফুলে যায়, সবসময় অস্বস্তি বোধ হয়।

কেন হয়?

এক সময়ে কিছু বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে বাচ্চাদের রিফাইন্ড ফুড বা পরিশোধিত খাবার বেশি খাওয়ানোর জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়েই চলেছে।

ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার ও পানি কম খেলে কিংবা প্যাকেটের দুধ বেশি খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। শিশুদের পেটের পেশির জোর কম থাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্যে তাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়।

চিকিৎসা

প্রথমেই তার খাবারের তালিকায় নজর দিতে হবে।

বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার অর্থাৎ শাক-সবজি, ফল খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে মল নরম হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।

তবে প্রোটিন বন্ধ করে দিলে চলবে না। বাজার পাওয়া প্যাকেটের দুধ কম খাওয়াতে হবে।