বুধবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন ফের নাকচ

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৫:০৩ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার


আজকাল ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন ফের নাকচ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তৃতীয়বার তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হলো।
গত বুধবার মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস জামিনের আবেদন করেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। আদালতের জামিন শুনানিতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তাদের আইনজীবীরা বলেন, রাজধানীর পল্টন থানার যে মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই মামলার এজাহারে এদের কারো নাম নেই। দুজনই বয়স্ক ও অসুস্থ। জামিন পেলে তারা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করবেন না। তাছাড়া এই মামলায় বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ার পরেও আদালত জামিন দিয়েছেন। তাই যেকোনো বিবেচনায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জামিন দিতে পারেন।
অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিএনপি দুই জ্যেষ্ঠ নেতার জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, আসামিরা জামিন পেলে মামলার তদন্ত বিঘিœত হবে। তাই তাদের জামিনের তীব্র বিরোধীতা করছি। পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
এর আগে ১২ই ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত একই মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। তার আগে ৯ই ডিসেম্বর পুলিশ তাদেরকে আদালতে হাজির করে। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন। সেই থেকে তারা কারাগারে আছেন।
গত ৭ই ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ। এ ঘটনায়  ডিসেম্বর মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। ৮ই ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জিঞ্জাসাবাদের কথা বলে তাদের বাসায় থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।