যেমন কেটেছে ঢালিউডের ২০১৮
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:২৬ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার
‘যায় দিন ভাল, আসে দিন খারাপ’ প্রবাদটি যেন দেশীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জন্য চিরন্ত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বছরের পর বছর। তারপরও সবারই মনে আশা থাকে সামনের দিনগুলো যাতে ফেলে আসা দিনগুলোর চেয়ে ভাল হয়।
তেমনি সিনেমাপ্রেমীদেরও কামনা ছিল, ২০১৮ সালে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি গত দু’বছরের চেয়ে আরো ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু চলতি বছরে মৌলিক চলচ্চিত্র নির্মাণ বাড়লেও সাফল্যের খাতা খুবই ছোট।
আমদানীকৃত ১২টি ও যৌথ প্রযোজনার ৩টিসহ সারা বছরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে ৫৭টি চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। দেশীয় চলচ্চিত্রগুলোর বেশিরভাগই ছিলো মৌলিক গল্পে নির্মিত, কিন্তু ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পেয়েছে মাত্র ৫টি সিনেমা।
এছাড়া চলতি বছরে কয়েকটি নতুন জুটিও পেয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ও সফল জুটি সিয়াম-পূজা। এই জুটির ‘পোড়ামন ২’ ও ‘দহন’ এবছরের ব্যবসা সফল ছবি।
পুরোনো জুটির মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে শাকিব খান-শবনম বুবলি জুটি। এই জুটি অভিনীত ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’ ও ‘চিটাগাইয়া পোলা নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’ বছরের অন্যতম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র।
বছরের শেষ সময়ে সবচেয়ে বড় চমকটি দেখিয়েছেন জয়া আহসান। হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’ উপন্যাসে নির্মিত একই নামের সিনেমাটি বছরের সবচেয়ে বড় ধামাকা ছিলো। জয়া, চঞ্চল চৌধুরী ও শবনম ফারিয়ার মন জুড়ানো অভিনয়ে বছর শেষে এখনো আলোচনায় এটি। অনম বিশ্বাসের এই ছবিটি নিয়ে আলোচনার আরেকটি দিক হলো, ছবিটির প্রচারণা দেশীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জন্য শিক্ষনীয় হতে পারে। কীভাবে চলচ্চিত্রের প্রচারণা করতে হয় সেটি বেশ ভালোভাবেই দেখিয়েছেন জয়া ও তার দল।
মাটির প্রজার দেশে, বেঙ্গলি বিউটি, কমলা রকেট, স্বপ্নজাল, স্বপ্নের ঘর ও কালের পুতুল-কে বছরের সেরা সিনেমার তালিকায় রাখা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ছবিগুলো কোনোটাই ব্যবসায়িক ভাবে সফল না। এর নেপথ্য অনেক কারণ।
তারমধ্যে অন্যতম ছিলো, প্রচারণায় উদাসীনতা ও কম প্রেক্ষাগৃহ বুকিং পাওয়া। এই দুটি বিষয়ে সফলভাবে কাজ করতে পারতো তাহলে বছর শেষে সফল সিনেমার খাতাটা আরো বড় হতো।
তবে সব মিলিয়ে শাকিব খানই ছিলেন ঢালিউডের সব থেকে সফল স্থানে। এরপরের জায়গাটা দখল করতে সক্ষম হয়েছেন সিয়াম। এদিকে নায়িকা হিসেবে নবাগতা পূজা চেরিকেই এগিয়ে রাখছেন আনেকেই।
এই বছরে পূজার তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। চলচ্চিত্র তিনটিতেই দূর্দান্ত অভিনয় নিপূণতা দেখিয়েছেন ঢালিউডের এই তরুনী। তবে পরিনত অভিনেত্রী হিসেবে জয়া আহসানকে এগিয়ে প্রথম স্থান দিতে রাজি কেউ কেউ।
অনেকেই বলছেন জয়া যেমন ভালো করছেন কলকাতাতে ঠিক তেমনি দেবী দিয়ে বাংলাদেশে আবারো নিজের জাত চিনিয়েছেন। এদিকে স্বপ্নজাল-এ দারুন অভিনয় করেছেন পরীমনি। যদিও চলচ্চিত্রটি ব্যাবসায়িক সফলতা পায়নি। এছাড়া বাপ্পি, মাহি, সাইমন, মিমসহ অন্যারা আশানুরুপ ভালো করতে পারেননি। তবে সব মিলিয়ে মোটামুটি একটি বছর পার করছে ঢালিউড।
