বুধবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাওয়া ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:৪৭ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০২২ বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্যোগসহনীয় ঘর পাওয়া উপকূলীয় ১৯টি জেলার প্রায় ৪ লাখ লোককে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং থেকে বাঁচতে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে স্বস্তিকর এ খবরটি। বাসস

গত ২ বছরে উপকূলীয় ১৯ জেলায় ৬১ হাজার ৩৭৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়। আশ্রয়ণের ঘরগুলো দুর্যোগ সহনীয় ঘর হওয়ায় কোনো ঘরের তেমন কোনো ক্ষতির সংবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাওয়ায় তাদের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে দুর্যোগের সময় মানুষ, গবাদি পশু ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, আশ্রয়ণে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো অনেক বেশি টেকসই। এই ধাপে একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ’ টাকা। তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোতে আরসিসি পিলার, গ্রেড ভিম, টানা লিংকটারসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়।

উপকূলীয় ১৯ জেলায় সর্বমোট ৬১ হাজার ৩৭৮টি ঘর বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। গোপালগঞ্জ জেলায় ৩৮০৫, শরীয়তপুর ২৬৬২, কক্সবাজার ৩৬৪০, চট্টগ্রাম জেলা ৫০৪৩, চাঁদপুর ৪০৮, লক্ষ্মীপুর ৩২২৮, নোয়াখালী ৩৬২৮, ফেনী ১৬৫৯, সাতক্ষীরা ২৯০৬, যশোর ২১৫৩, খুলনা ৩৯৫০, নড়াইল ৮২৯, বাগেরহাট ২৭৯৪, ভোলা ৩৫২৯, পিরোজপুর ৪৮৬৭, ঝালকাঠি ১৮৪২, পটুয়াখালী ৬৯৪১, বরগুনা ২৬০০ এবং বরিশাল জেলায় ৪৮৩৪ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হয়।

ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদী ভাঙ্গনকবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।  

আশ্রয়ণ এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ সালে মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪ ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া ভাসমান  বিভিন্ন জনগোষ্ঠীও রয়েছে।