মঙ্গলবার   ০৬ মে ২০২৫   বৈশাখ ২২ ১৪৩২   ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৬

সেন্সরে যাচ্ছে রেজা ঘটকের ‘হরিবোল’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক সংখ্যালঘুদের উপর সম্প্রতি নির্মাণ করেছে চলচ্চিত্র ‘হরিবোল’। এরই মধ্যে ছবিটির নির্মাণযজ্ঞ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। আনিসুজ্জামান নিবেদিত ও বলেশ্বর ফিল্মস প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রটি শিগগিরই জমা পড়তে যাচ্ছে সেন্সরে।

সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে আগামী নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা নিজেই। এটি যেমনি একটি নদী বিষয়ক চলচ্চিত্র, তেমনি এটি পরিবেশ বিষয়কও।

ছবিতে- মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নির্যাতিত এক নারীর সত্য ঘটনা অবলম্বনে একজন তরুণ নির্মাতা একটি সিনেমা নির্মাণ করতে বলেশ্বর জনপদের একটি গ্রামে যান। সেই গ্রামেই সন্ধান পান এই নিপীড়িত সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের। এক গল্পের ভেতরে অন্য এক নতুন গল্প। মুক্তিযুদ্ধ এবং সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারকে ঘিরে এরকম এক সমান্তরাল আখ্যানকে উপজীব্য করেই নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘হরিবোল’। এতে শেষ পর্যন্ত চিরন্তন প্রেমেরই জয়গান করা হয়েছে।

ছবিতে তরুণ নির্মাতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী ফয়সল। সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের কর্তা নিতাই'র চরিত্রে দেখা যাবে ইকতারুল ইসলামকে। আর নিতাই'র বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৃপ্তি সরেন। এছাড়া অভিনয় করেছেন- এমরান হোসেন, সেলিম হায়দার, প্রণব দাস, লিয়াকত লিকু, ইউসুফ ববি, জাহিদ হাসান এবং চিন্ময় চক্রবর্তী প্রমুখ।

চলচ্চিত্রটির মিউজিক কম্পোজ করেছেন অংশুমান। চলচ্চিত্রের জন্য তিনটি গান লিখেছেন ও সুর করেছেন অংশুমান। যার মধ্যে একটি গান গেয়েছেন বাউল সফি মণ্ডল, একটি গান গেয়েছেন অংশুমান নিজেই এবং অন্য গানটি গেয়েছেন অংশুমানের সাথে একঝাঁক তরুণ শিল্পী।

একটি গান লালন সাঁইজির। লালন সাঁইজির গানটি গেয়েছেন নলীনি মণ্ডল। আর একটি গান ভবা পাগলার। ভবা পাগলার গানটির সঙ্গীত আয়োজন করেছেন অংশুমান এবং গেয়েছেন সাত্যকি ব্যানার্জি। ছবিটির টাইটেল ডিজাইন করেছেন শিল্পী সব্যসাচী হাজরা।

এ প্রসঙ্গে রেজা ঘটক বলেন, ‘ছবিতে আমি দুটি গল্পকে সমান্তরালভাবে মার্চ করিয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সাথে স্বাধীনতার পঁয়ত্রিশ বছর পর একটি সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের উপর নেমে আসা প্রচলিত সমাজের নিপীড়নের চিত্র এতে ধরা হয়েছে। বড় ক্যানভাসে ‘হরিবোল’ একটি জনপদকে রিপ্রেজেন্ট করে। বিশেষ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের উপর ‘হরিবোল’ একটি বিশেষায়িত চলচ্চিত্র।’