নেপালি অধিনায়কের এ কীর্তি করতে পারেনি আর কেউ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৩৭ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রোববার

ঘটা করেই সকল সহযোগী সদস্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা দিয়েছিল আইসিসি। তখনই ধারণা করা হয়েছিল কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে তোলপাড় চলবে প্রতিনিয়ত। বাস্তবেও হচ্ছে তাই। একের পর এক নতুন নতুন কীর্তি গড়ে রেকর্ডের পাতায় ঝড় তুলছেন সহযোগী দেশগুলোর ক্রিকেটাররা।
যার সবশেষ উদাহরণ নেপালের অধিনায়ক পরশ খাড়কা। শনিবার সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে অপরাজিত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন নেপালি অধিনায়ক। তার ৫২ বলে ১০৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে নেপাল।
সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে ইতিহাসের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে রান তাড়া করে জয়ের ম্যাচে প্রথম অধিনায়ক হয়েছে পরশ খাড়কা। প্রায় ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে তার আগে এ কীর্তি করতে পারেননি আর কেউ। এতদিন ধরে রান করে জেতা ম্যাচে অধিনায়কদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিলো ক্রিস গেইল ৮৮ রান। প্রায় দশ বছর আগে ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি করেছিলেন গেইল।
গেইলের রেকর্ড ছাপিয়ে সেঞ্চুরি করার দিনে আরও একটি কীর্তি গড়েছেন পরশ খাড়কা। তিনি যখন ১০৬* রান করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন, তখন নেপালের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫৪ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এত কম দলীয় সংগ্রহে সেঞ্চুরি করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান।
পরশ খাড়কাময় দিনে সিঙ্গাপুরের পাত্তা না পাওয়াই ছিলো স্বাভাবিক। তারা আগে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে দাঁড় করায় ১৫১ রানের সংগ্রহ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন অধিনায়ক টিম ডেভিড। এছাড়া সুরেন্দর চন্দ্রমোহন ৩৫ এবং জনক প্রকাশ খেলেন ২৫ রনের ইনিংস।
নেপালের বিশ্ব তারকা স্বন্দীপ লামিচানে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করলেও উইকেটের দেখা পাননি। ডানহাতি পেসার কারান কেসি ৩৪ রানে নেন ২টি উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৯ রানেই ইশান পান্ডের উইকেট হারায় নেপাল। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন ১৪৫ রান যোগ করেন অধিনায়ক পরশ খাড়কা এবং আরিফ শেখ। সাত চারের সঙ্গে নয় ছক্কা হাঁকিয়ে নেপালের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন খাড়কা। আরিফের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।
ত্রিদেশীয় সিরিজে সিঙ্গাপুর ও নেপালব্যতিত অন্য দেশটি হলো জিম্বাবুয়ে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছিল নেপাল। আর সিঙ্গাপুর হারল নেপালের কাছে। সব দল একে অপরের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে দুইবার করে। পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল।