সরফরাজদের মুরগি ‘কেড়ে নিলেন’ মিসবাহ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:৩৩ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

প্রধান কোচ ও নির্বাচকের দায়িত্ব নিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে আমূল পরিবর্তন আনার মিশনে নেমেছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। যার প্রথম ধাপে তিনি হাত দিয়েছেন খেলোয়াড়দের খাদ্যাভ্যাসে।
স্কিলের আগে ফিটনেস- এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনেছেন মিসবাহ। সরাসরি বলে দিয়েছেন, চলতি কায়েদে আজমের ম্যাচে এবং জাতীয় একাডেমিতে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য মুরগিজাতীয় যেকোনো খাবার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পাকিস্তানি দৈনিক জাং প্রকাশ করেছে এই খবর।
খেলোয়াড়দের ফিটনেস ইস্যুতে জোর দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিদিন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফিটনেস টেস্ট নিচ্ছেন নতুন কোচ মিসবাহ। এছাড়া ফিল্ডিং কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নও এ কাজে সাহায্য করছেন প্রধান কোচকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের আসন্ন মৌসুমের জন্য চলতি কায়েদে আজম ট্রফিতে বিশেষ নজর দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সিডনি থেকে লাহোর পৌঁছেই মাঠের সীমানায় দাঁড়িয়ে বোলারদের পরামর্শ দিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে নতুন বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের জন্য চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করবে পাকিস্তান। ক্রিকেট বোর্ডের সূত্রের বরাত দিয়ে দৈনিক জাং জানায়, দলের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদসহ ছয় ক্রিকেটারকে ক্যাম্পের বদলে নিজেদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে বলেছেন মিসবাহ। এছাড়া কায়েদে আজমের দলগুলোর কোচেদেরও ফিটনেস বিষয়ক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পত্রিকাটি আরও জানাচ্ছে, লাহোরে জাতীয় একাডেমির খাদ্য তালিকায় কম তৈলাক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করেছেন মিসবাহ। এছাড়া খেলোয়াড়দের ডায়েটের জন্যও আলাদা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে কায়েদে আজম ট্রফিতে খেলোয়াড়দের জন্য মুরগিজাতীয় সব খাবারের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর বদলে মসুর ডাল, চাল, বারবিকিউ, পাস্তাজাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে খেলোয়াড়দের। এছাড়া প্রথমবারের মতো অনেক বেশি ফলমূল খেতে দেয়া হচ্ছে খেলোয়াড়দের।