ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রোববার

তিন দশকেরও অধিক সময় পর ফুটবলে কলকাতায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এটি কাতার-২০২২ বিশ্বকাপ বাছাই দ্বিতীয় পর্বে দুই দেশেরই হবে তৃতীয় ম্যাচ। ভারত ইতিমধ্যে দুটি ম্যাচ খেলেছে ওমান ও কাতারের বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে ওমানের কাছে হেরেছে ২-১ গোলে এবং কাতারে গিয়ে দেশটির সঙ্গে করেছে গোলশূন্য ড্র।
অন্যদিকে বাংলাদেশ একটি ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। তাজিকিস্তানের দুশানবেতে ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হেরেছে আফগানিস্তানের কাছে। ১০ অক্টোবর ঘরের মাঠে কাতারের বিপক্ষে খেলে ১৫ অক্টোবর কলকাতার সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভারতের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
একদিন আগে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় দেশটির অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটির গুরুত্ব অনেক। যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারি আমি পরিপূর্ণ দেখতে চাই। তাহলে বাংলাদেশ ম্যাচে চাপে থাকবে।’
একদিন পরই ওই পত্রিকাটি সাক্ষাতকার নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নিজের ক্যারিয়ার, ১৫ অক্টেবরের ম্যাচ এবং ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে কি বলেছেন তা তুলে ধরা হলো।
আনন্দবাজারকে জামাল বলেন, ‘কাতারের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা দেখেছি। ভারত খুবই ভাল খেলেছে। আমাদের সঙ্গে ভারতের লড়াইটা গ্রুপের সবচেয়ে উত্তেজক ম্যাচ হবে বলেই আমার মনে হচ্ছে।’
নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমার জন্ম ডেনমার্কে। বেড়ে ওঠাও সেখানেই। আমার মা-বাবা থাকতেন কিশোরগঞ্জে। আমার জীবন বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী। ১৫ বছর বয়সে আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলাম। আমার জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছিল। তখন আমি ফুটবলে উন্নতি করছিলাম। সেইসব দিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি, কঠিন পরিশ্রম করলে অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে আলোর দেখা অবশ্যই মিলবে। জীবনের ওঠা-পড়া থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি। পরিস্থিতির মোকাবিলা এখন আমি খুব সহজেই করতে পারি।’
ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন লড়াই প্রসঙ্গে জামাল বলছেন, ‘ভারত খুবই শক্তিশালী দল। গত চার-পাঁচ বছরে এশিয়ার অন্যান্য দলগুলোর থেকে ভারতই সব চেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বলেই আমি মনে করি। ভারতের হাতে যে অস্ত্র রয়েছে, বাংলাদেশের কাছে তা নেই। ধারাবাহিকভাবে ভারতের হয়ে গোল করে চলেছে সুনীল। বাংলাদেশ ঠিক এই জায়গাতেই পিছিয়ে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক ‘ই’ গ্রুপ নিয়ে বলেন, ‘আমাদের গ্রুপটা খুবই কঠিন। প্রতিটি ম্যাচেই আমরা আন্ডারডগ হিসেবে শুরু করছি। কিন্তু, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, কঠিন পরিশ্রম এবং দায়বদ্ধতা দেখাতে পারলে আমরা বেশ কিছু পয়েন্ট আদায় করে নিতে পারবো।’