বৃহস্পতিবার   ২০ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৬ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

কেন্দ্রীয় বিএনপির অঘোষিত ‘হামলা’ কর্মসূচী চলছে

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৪৬ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার

নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়েছে সারাদেশে। তত্ত্ব, বিশ্লেষণের ঝড় উঠেছে চায়ের কাপ থেকে খেলার মাঠেও। কাকে ভোট দিলে এলাকায় শান্তি বজায় থাকবে, উন্নয়ন হবে, দেশের কল্যাণ হবে, সেসব আলোচনায় মগ্ন রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে গৃহিণীরাও।

এসবই নির্বাচনের সৌন্দর্য্য। তবে এর বিপরীত চিত্রও আছে। একটি বিশেষ গোষ্ঠীর তৎপরতায় সারাদেশে প্রতিদিনই ঘটছে হামলার ঘটনা। যা নির্বাচনী উৎসবকে বিবর্ণ করে দিচ্ছে অনেকাংশেই।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বর মাসের ১ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত পর্যন্ত ৫ জন আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৪৪১ জন আহত হয়েছেন। ১৭০টি আওয়ামী লীগ কার্যালয়, বাসা-বাড়ি ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৬৮টি কার্যালয় ও যানবাহন পোড়ানো হয়। অন্তত ৪টি জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এসব হামলার পেছনে বারবার উঠে এসেছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের নাম।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের বিবরণেও এসব হামলার সাথে বিএনপি-জামায়াতের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের ‘সহাবস্থানমূলক’ মনোভাব ও বিদ্যমান লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অপব্যবহার করেই আওয়ামী লীগ কর্মীদের হত্যার মিশনে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত, এমনটিই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তারা এও বলছেন, বিনা উস্কানিতে হামলা তো দূরে থাক, আওয়ামী কর্মীরা কোথাও পাল্টা হামলা না করে সহনশীলতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের এ ইতিবাচক রাজনীতি থেকে বিএনপি-জামায়াতের শিক্ষা নেয়া উচিত বলেও মনে করেন তারা।

তবে বিএনপি-জামায়াত যে শিক্ষা না নিয়ে আরো হিংস্র, উগ্র হয়েছে দিনদিন, সে প্রমাণ মেলে ২৬ ডিসেম্বরের পরিসংখ্যানে। শুধুমাত্র ২৬ তারিখেই ১৭টি জেলার ২২টি আসনে বিএনপি-জামায়াতের গুণ্ডাবাহিনীর হাতে ৪০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, ১০টি জায়গায় বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে এবং ৭টি দলীয় কার্যালয় ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।দেশের বিভিন্ন জেলায় সংগঠিত এসব হামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে ন্যূনতম দুঃখপ্রকাশ তো দূরে থাক, উল্টো সাফাই গাওয়া হয়েছে সন্ত্রাসীদের পক্ষে। ফলে আওয়ামী লীগ কর্মীদেরকে হত্যা-হামলা যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটিরই অঘোষিত কর্মসূচি, তা এখন দিবালোকের মতোই পরিস্কার।

নির্বাচনের বাকি আরো কয়েকদিন। এ ক’দিনে এবং নির্বাচনের দিনে বিএনপি আর কত লাশ পেলে সন্তুষ্ট হবে, সে প্রশ্ন এখন সর্বত্র।