টাকা দিয়ে মার্কিন নারীর মুখ বন্ধ করেছিলেন রোনালদো!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:১২ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

সময়ের সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন যুক্তরাস্ট্রের মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা। ধর্ষনের কোনো প্রমাণ না মেলাইয় সে অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলেছে এ ফুটবল তারকার। তবে রোনালদো জানান টাকা দিয়েই থামানো হয় অভিযোগকারী মহিলাকে।
২০১০ সালে রোনালদোর বিরুদ্ধে প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ আনে যুক্তরাস্ট্রের এই মডেল। তবে সেই সময়ে ৩,৭৫,০০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করলেন পর্তুগিজ এই মহাতারকা। ২০১০ সালে সেই মডেলকে এই অর্থ দেয়া হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকার করেছেন রোনালদোর আইনজীবীরা।
মার্কিন এই মডেল অভিযোগ করেছিলেন রোনালদো ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেন। তবে রোনালদো প্রথম থেকেই সেই অভিযোগ তীব্র ভাবে অস্বীকার করে আসছেন। রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকায় লাস ভেগাস প্রশাসন জুলাই মাসে জানিয়েছেন, ‘রোনালদোকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ নেই। এরপরে আবারও মায়োরগা দেওয়ানি মামলার উদ্যোগ নেন। রোনালদোর আইনজীবী সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বলেছেন, ‘মায়োরগার সঙ্গে আগেই এ ব্যাপারে মিটমাট হয়েছে। ২০১০ সালে ৩লাখ ৭৫হাজার ডলারের বিনিময়েই দুই পক্ষের মধ্যে গোপন সমঝোতা চুক্তিও হয়েছিল।
রোনালদোর আইনজীবীরা আরও বলেন, ‘রোনালদো এই অর্থ মায়োরগাকে দিয়েছিলেন দোষ স্বীকার করে নয়, এই ঘটনাটি যেন জনসম্মুখে না আনে সেই কারণে।
লাস ভেগাসে ২০০৯ সালে রোনালদোর সাথে মায়োরগার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল পর্তুগিজ তারকার তার আইজীবীরা এই বিষয়টি অবশ্য স্বীকার করে নেনে। তবে রোনালদো এবং তার আইনজীবীদের দাবী যা হয়েছিল তা দুই জনের সম্মতিতেই হয়েছিল।
এই ঘটনায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে রোনালদো বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ধর্ষণ একটা ঘৃণ্য অপরাধ। আমি কোনো অবস্থাতেই তা সমর্থন করি না।
ছেলের সমর্থনে রোনালদোর মা দোলোরেস তদন্ত চলাকালীন সন্তান রোনালদোর পাশেই ছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, ‘যাই হোক না কেন, আমি আমার ছেলেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। সে এই ধরণের কোনো কাজ করতে পারে না।
এছাড়াও মার্কিন মডেলকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘ও নিশ্চয়ই রোনালদো যে হোটেলে ছিল সেই হোটেলে কেবল তাস খেলতেই যায়নি।‘ এছাড়াও রোনালোর পাশে দাঁড়িয়েছেন তার বর্তমান স্প্যানিশ বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজও।