ক্যাম্পে ডাক পেলেও অনুশীলনে যোগ দিতে পারছেন না ১০ তরুণ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৪৪ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৯ রোববার

প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন ৩৫ জন; কিন্তু আগামী পরশু ১৯ আগস্ট থেকে যে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হচ্ছে, সেখানে ২৪/২৫ জনের বেশি ক্রিকেটারের দেখা মিলবে না। মানে অন্তত ১০ জন কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দিতে পারছেন না।
কারা তারা? কন্ডিশনে ডাক পাওয়া ১০ তরুণ ইয়াসির আলি চৌধুরী, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাঈম হাসান, শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত মিশু ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব আছেন হাই পারফরমেন্স (এইচপি) ইউনিটে।
শ্রীলঙ্কার ইমার্জিং দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য গতকাল শুক্রবার ঠিক এই সময় যে ১৫ জনের বাংলাদেশ ইমার্জিং বা হাই পারফরমেন্স ইউনিট ঘোষণা করা হয়েছে, সেই দলে আছেন ওপরের ১০ তরুণ ক্রিকেটারও।
আগামীকাল ১৮ আগস্ট বিকেএসপি মাঠে লঙ্কান ইমার্জিং দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইমার্জিং একাদশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। একই মাঠে ২১ আগস্ট দ্বিতীয় ম্যাচ। এরপর ২৪ আগস্ট খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
২৮ আগস্ট থেকে খুলনার ওই মাঠে চার দিনের প্রথম ম্যাচ এবং ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজারের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ চার দিনের ম্যাচ। তার মানে এই তরুণদের পক্ষে কোনভাবেই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকা সম্ভব নয়। তারা সবাই ব্যস্ত থাকবেন হাই পারফরমেন্স ইউনিটের হয়ে লঙ্কান ইমার্জিং দলের বিপক্ষে খেলায়। তাই বলা হয়েছে ওপরে যে ১০ তরুণের নাম আছে, তারা কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দিতে পারবেন না।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও তাই জানালেন। জাগো নিউজের সাথে আলাপে আগেও নান্নু বলেছিলেন, ৭-৮ জন তরুণ থাকবে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে। শেষ পর্যন্ত তিনজন বাড়িয়ে হাই পারফরমেন্স ইউনিটের ১০ জন জায়গা পেয়েছেন।
প্রধান নির্বাচকের কাছে প্রশ্ন রাখা হলো, যে তরুণরা হাই পারফরমেন্স ইউনিটের হয়ে খেলায় ব্যস্ত থাকবেন, তারাতো অনুশীলনও করতে পারবেন না। তাদের প্রাথমিক দলে রাখা কেন?
নান্নুর জবাব, ‘তারা তো তৈরিই আছে। প্র্যাকটিস করছে। কাজেই নতুন করে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কিছু নেই। তারা প্র্যাকটিসে আছে। খেলার ভিতরেই আছে।’
এটুকু বলেই থামেননি প্রধান নির্বাচক। তার শেষ কথাটি দারুণ তাৎপর্য্যপূর্ণ। যাতে একটি বড় বার্তাও আছে। তাহলো, ইমার্জিং স্কোয়াডের যে ১০ তরুণকে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে রাখা হয়েছে, তাদের কারো কারো ওপর আমাদের বিশেষ দৃষ্টি আছে।’
বাকি কথা উহ্য রাখা হয়েছে। শুনে নিন, ওই তরুণদের মধ্য থেকে কয়েকজন আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান আর বাংলাদেশকে নিয়ে যে তিন জাতি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে- তাতে খেলবেন। আর প্লেয়িং মেম্বার না হলেও টেস্টে একজন (সাইফ হাসান) আর নাঈম শেখ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেতে পারেন।
তাদের দিকে নির্বাচকদের বিশেষ দৃষ্টি আছে। এখন ইমার্জিং দলের হয়ে তিন ওয়ানডে আর দুটি চার দিনের ম্যাচের পারফরমেন্সটাও মানদন্ড হিসেবে ধরা হবে। এর মধ্যে জহুরুল ইসলাম অমির সাথে সাইফ হাসানকে টেস্টে খুঁটিয়ে দেখা হবে। আর ড্যাশিং ওপেনার নাইম শেখ এবং বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব‘রও টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাবার সম্ভাবনা খুব বেশি।