কৌশলী গৃহিণীর জন্য
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:২৬ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

রসুইঘরের কিছু ছোট ছোট কৌশল জানা থাকলে সুবিধা পাওয়া যায় রান্নার সময়। সেসব কৌশলের কয়েকটি জেনে নিন—
শীতের সময় সকালে চিতই পিঠার সঙ্গে সরষে ভর্তা যেন অমৃতসম। কিন্তু অনেক সময়ই হয়তো সরষে বাটার পর তেতো লাগে সেক্ষেত্রে বাটার সময় পরিমাণমতো লবণ মিশিয়ে নিলে এই তিতাভাব কমে যায়।
গলা চুলকানোর ভয়ে ওল কিংবা কচু খেতে চান না অনেকেই। কিন্তু এ ভয় আর থাকবে না যদি কিছুটা বুদ্ধি অবলম্বন করা যায়। রান্নার সময় একটু তেঁতুলের রস মিশিয়ে নিলে গলা চুলকানোর ভয় থাকে না।
ডিম সিদ্ধ করছেন? একটুখানি লবণ মিশিয়ে নিন তাতে। ডিম তাড়াতাড়ি তো সিদ্ধ হবেই, সেই সঙ্গে খেতে হবে সুস্বাদু। গরম ডিমের খোসা না ছাড়িয়ে একটু ঠাণ্ডা হলে ছাড়ান। এতে খোসায় ডিম লেগে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
গরম তেলে কিছু ভাজতে গেলে তেল ছিটকে গায়ে আসতে পারে। তাই ভাজার আগে তেলে এক চিমটি লবণ দিয়ে দিন। আর ছিটবে না।
মাছ কাটার পর হাতে দুর্গন্ধ থেকেই যায়। অনেক সময় সাবান দিয়ে ধুলে এ গন্ধ যায় না। মাছ কাটার আগে হলুদ আর ভিনেগার মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। ভিনেগার না থাকলে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। মাছের গন্ধও দূর হবে, হাতেও কম গন্ধ হবে।
রান্নার পরও সবজির সঠিক রঙ বজায় রাখতে চান? ঢাকনা দিয়ে রান্না না করে উন্মুক্ত রান্না করুন। কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো সামান্য পানি সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে রান্না করলে সবজির রঙ থাকে অক্ষুণ্ন।
ঝরঝরে ভাত চান, চাল ধুয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর রান্না করুন। কিংবা রান্নার সময় মিশিয়ে নিন ১ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল। ভাত হবে একদম ঝরঝরে।
অনেক সময় মুখবন্ধ কৌটায় বিস্কুট রাখার পরও মচমচে ভাব থাকে না। সেক্ষেত্রে কৌটায় খানিকটা চিনি ছিটিয়ে কিংবা মোটা কাগজের টুকরো দিয়ে তারপর বিস্কুট রাখুন। অনেক দিন মচমচে থাকবে।