হাসি মুখে ওয়ার্নারের সারেন্ডার
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:১৩ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

টেস্টের তৃতীয় দিন গ্যালারি থেকে অজি ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারকে ইংলিশ সমর্থকরা বিদ্রুপ করছিল, তখন হাসিমুখে ট্রাউজারের দুই পকেট বের করে তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘এই দেখো আমার পকেট। কিচ্ছু নেই, একেবারে ফাঁকা।’হাসিমুখে এ সময় ওয়ার্নারকে সে বিদ্রুপ মেনে নিতেই হলো।
গত বছর মার্চে কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে সেন্ড পেপার কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার, স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন বেনক্রফট। এরপর দু’জনের এক বছর এবং একজনের ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগেন।
অবশেষে সব কাহিনী পেছনে ফেলে তারা আবার অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের হয়ে দিব্যি অ্যাশেজ সিরিজের মাঠে।
এজবাস্টনে ১ আগস্ট অ্যাশেজ শুরুর দিন ডেভিড ওয়ার্নার যখন ব্যাট করতে নামছিলেন, তখন গ্যালারিতে থাকা ইংলিশ সমর্থকরা এক ধরনের হলুদ কাগজ প্রদর্শন করে অজি ক্রিকেটারদের সেই সেন্ড পেপার কেলেঙ্কারির কথা স্মরণ করিয়ে বিদ্রুপ করে।
সাধারণত স্লিপ কিংবা ব্যাটসম্যানের কাছাকাছি কোনও একটা স্থানে ওয়ার্নারকে ফিল্ডিং করতে দেখা যায়। কিন্তু শনিবার দুপুরে এজবাস্টনে যখন তার কাছে বাউন্ডারি লাইনে যাওয়ার নির্দেশ এল, তিনি ধরেই রেখেছিলেন গ্যালারি থেকে বিদ্রুপ আছড়ে পড়তে পারে। সেই বিদ্রুপ সামলাতে নিজেকে প্রস্তুতও রেখেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার।
রসিকতার ছলে ওয়ার্নারের এই বিদ্রুপের জবাব মনে ধরে এজবাস্টনের গ্যালারির। তারা করতালি দিয়ে অজি ওপেনারকে অভিবাদন জানায়। তবে বিদ্রুপের পর গ্যালারির মন জিতলেও কামব্যাক টেস্টে ব্যাট হাতে সমর্থকদের মন জিততে পারেননি তিনি।
প্রথম ইনিংসে ২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮ রানে স্ট্রুয়ার্ট ব্রডের শিকার হন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি আরেক ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের ইনিংসও। ৭ রানে মঈন আলির শিকার হন তিনি।
তবে ওয়ার্নার আর বেনক্রফট না পারলেও স্টিভ স্মিথ কিন্তু ঠিকই নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও তার ব্যাট হাসছে।