বুধবার   ১৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২   ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

অ্যাথলেটিক্সের অভিভাবক ফারুক-মন্টু

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:০৮ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

দীর্ঘ ছয় বছর পর নির্বাচন হলো বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনে। আর এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ফারুক-মন্টু প্যানেল । ২৮টি পদের সবকটিতেই জিতেছেন এ প্যানেলের প্রার্থীরা। শনিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনের সভাকক্ষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১১৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

পাঁচ সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, ফারুকুল ইসলাম, এসএম মোর্তাজা রশিদী দারা, মো. জায়েদুল আলম ও মো. তোফাজ্জল হোসেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ আলম পেয়েছেন ১৯ এবং এসএম সাদাত হোসেন সোহেল পেয়েছেন দুই ভোট। দুই যুগ্ম সম্পাদক পদে জিতেছেন ফরিদ খান চৌধুরী ও মিজানুর রহমান। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন জামাল হোসেন।

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মন্টু বলেন, ‘অ্যাথলেটিক্সের উন্নয়নে আরও কাজ করতে চাই। যারা হেরে গেছেন তারাও অ্যাথলেটিক্সের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। তাদেরও আমরা সঙ্গে রাখব। যাতে দেশের অ্যাথলেটিক্স এগিয়ে যায়।’ একসময় দক্ষিণ এশিয়ায় স্প্রিন্টে বাংলাদেশের দাপট ছিল। কিন্তু বিগত ক’টি গেমসে বাংলাদেশের অবস্থা বিবর্ণ। অচিরেই এ অবস্থা কাটাতে চান নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মন্টু। তার কথা, ‘আমরা শেখ কামাল অ্যাথলেটিক্স ক্রীড়া কমপ্লেক্স করার পরিকল্পনা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা নিয়ে আমরা অ্যাথলেটিক্সকে এগিয়ে নিয়ে যাব। নেপাল এসএ গেমসে না হলেও পরবর্তী আসরে স্বর্ণপদক প্রত্যাশা করছি। সেজন্য কাজও শুরু করে দিয়েছি।’

 

অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের নির্বাচন উপলক্ষে ক্রীড়াঙ্গনের অনেক ডিসিপ্লিনের সাবেক ও বর্তমান ক্রীড়াবিদ, সংগঠকদের মিলনমেলা বসেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। সকাল থেকেই ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। দুপুর গড়াতেই সাবেক অ্যাথলেটরাও মিলিত হন এই মিলনমেলায়। এ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শাহ আলম সরদার। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনের নিচতলায় সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর সংখ্যা ছিল ১২০ জন। এর মধ্যে তিনজন অনুপস্থিত ছিলেন। ফারুক-মন্টু পরিষদ বেশ সংগঠিত ছিল। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ (ফোরাম) ফারুক-মন্টু প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছিল। যার ফলে দু’প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে জয়-পরাজয়ের ব্যবধানও বেশি ছিল।