অচেনা ট্রেনে অচিন দেশে আমজাদ হোসেন
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৫:২১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী এবং লেখক আমজাদ হোসেন ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ও ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, শুক্রবার দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের চিকিৎকরা বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তার স্ত্রী আর দুই ছেলে রয়েছে।
গেল ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করেন গুনী এ নির্মাতা। সেদিনই তাকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই তাকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নেয়া হয়। ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তিনি প্রখ্যাত নিউরোসার্জন টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
১৯৪২ সালের ১৪ অগাস্ট জামালপুরে জন্ম নেয়া আমজাদ হোসেন চিত্র পরিচালনার বাইরে লেখক, গীতিকার, অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত।
‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৬১ সালে রুপালি পর্দায় তার আগমন। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় তিনি বেশি সময় দেন।
১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘খেলা’। সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’র চিত্রনাট্য লেখায় জহির রায়হানের সঙ্গে আমজাদ হোসেনও ছিলেন।
তার ‘নয়নমনি’, ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘কসাই’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রও দর্শক ও বোদ্ধামহলের প্রশংসা পায়। তার লেখা ও নির্মিত টিভি নাটকও ছিল জনপ্রিয়।
গান লেখায়, চিত্রনাট্যে ও পরিচালনায় চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া সরকার তাকে একুশে পদকেও ভূষিত করে।
