বুধবার   ১৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩১ ১৪৩২   ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

কী দরকার দেশের জন্য খেলে, যদি বৃদ্ধ বাবাকে জেল খাটতে হয়?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৫৬ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় শামীমা সুলতানা প্রতিবেশীর করা মিথ্যা মামলায় বৃদ্ধ বাবা জেল হাজতে যাওয়ায় হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন, কী দরকার দেশের জন্য ক্রিকেট খেলে, যদি আমার মুক্তিযোদ্ধা বৃদ্ধ বাবাকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটতে হয়? 

শামীমা বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান। শামীমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা সলেমান শেখ (৭৪) একটি নারী নির্যাতনের মামরায় এখন জেল হাজতে।

 

মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের সলেমান শেখের মেয়ে শামীমা বর্তমানে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের হয়ে খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন। বৃদ্ধ বাবার জেলে যাওয়ার খবরে তিনি সেখানে থেকে উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করে নিজের ফেইসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন।

সলেমান শেখের ছোট ভাই মহম্মদ আলী অভিযোগ করেন, শামীমার বাবা সলেমান শেখ গরুর খামারের পাশাপাশি গবাদী পশুর খাবারের ব্যবসা করেন। সম্প্রতি তিনি প্রতিবেশী আনোয়ারা বেগমের কাছে বাকিতে কিছু গরুর খাবার বিক্রি করেন।

ওই পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে আনোয়ারার ছেলে আশিকুর রহমান শামীমার বাবাকে মারপিট করেন। বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গায়ে হাত তোলায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আশিকুর রহমানকে উল্টো মারপিট করেন। আহত আশিক মাগুরা সদর হাসপাতালে ৪-৫ দিন থেকে চিকিৎসা নেন। 

মহম্মদ আলী বলেন, এ ঘটনার আনোয়ারা বেগম শনিবার  শ্রীপুর থানায় নারী নির্যাতন ও ছেলেকে মারপিটের ঘটনায় সলেমান শেখ তার ও তার স্ত্রী, ছেলে , ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রীসহ আরও ৪-৫ জনের নামে মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই সলেমান শেখকে গ্রেফতর করে জেল হাজতে পাঠায়।

 

শামিমা বলেন, ওই পরিবারটি আমার বাবাসহ আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমার বৃদ্ধ বাবার বয়স ৭৪ বয়স  বছর হলেও মামলায় ৫৭ বছর দেখিয়ে নারী নির্যাতন মামলা দিয়েছে। 

মামলার বাদী আনোয়ারা বেগম বলেন, সামান্য পাওনা টাকার জন্য সলেমান শেখ তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। এমনকি তার ছেলে আশিককে ধরে নিয়ে বেদম মারপিট করে বাড়িতে আটকে রাখে। 

শ্রীপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, আইন সবার জন্য সমান। তবুও পুলিশ জাতীয় ক্রিকেটার শামীমার উপর সন্মান দেখিয়ে ঘটনার পরও স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য পাঁচ দিন সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে আইগত ব্যবস্থা নিয়েছি।