বৃহস্পতিবার   ২০ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ক্যান্সার রোগীর জন্য ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের মানবিক সহায়তা

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৯ সোমবার

ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য শেষ পর্যন্ত বাড়িঘর বিক্রি করে দিতে হয়েছিল কক্সবাজারের সুনন্দের পরিবারকে। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আয়ের একমাত্র সম্বল ইজিবাইকটিও (টমটম) হারিয়েছেন আরও আগে। এরপরও কুলিয়ে উঠতে না পেরে হাপিত্যেশ করছিল সুনন্দদের পরিবার। চেষ্টা চলছিল একমাত্র ছেলেটিকে বাঁচানোর। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে হতাশায় ডুবেছিলেন সুনন্দের মা।

এরই মাঝে খবরটি পৌঁছে যায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর কানে। তার নির্দেশনায় ক্যান্সার আক্রান্ত অসহায় সুনন্দদের চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন ছাত্রলীগের কক্সবাজারের কিছু নেতাকর্মী। রোববার সন্ধ্যার পর গোলাম রাব্বানীর পক্ষে সুনন্দের অসহায় পরিবারের কাছে আর্থিক অনুদান তুলে দেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আদনান।

ছাত্রলীগের সহযোগিতা পেয়ে আবেগে আপ্লুত সুনন্দর মা মারুফ আদনানকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। এ সময় তিনি সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর জন্যও আর্শীবাদ করেন।

সুনন্দর মা বলেন, ‘ছাত্রলীগের সহযোগিতা আমার নিস্তেজ মনে বল এনে দিয়েছে। এটি সহযোগিতা নয়, ভগবানের আর্শীবাদ। দেশের সব ধরনের ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ কাজ করে এটা বিভিন্ন বক্তব্যে শুনে এসেছি, কিন্তু এর বাস্তবতা উপলব্ধি করলাম নিজের ক্ষেত্রে। ছাত্রলীগ মানবতার জন্য কাজ করে তার প্রমাণ আমিও।’

তিনি জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসে সুনন্দর খাদ্যনালীতে টিউমার ধরা পরে। আর্থিক অচ্ছলতার কারণে সে সময় সঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে পারিনি। ফলে পর্বতীতে এটি ক্যান্সারে রূপ নেয়। এ অবস্থায় উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন টমটম গাড়িটিও বিক্রি করে দেয়া হয়। কিন্তু দিন দিন তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের বেঙ্গালুরে ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কান্না জড়িত কণ্ঠে সুনন্দর মা বলেন, ভারতে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও (বাড়িও) বিক্রি করে দিই। তারপরও প্রয়োজনীয় টাকার সংস্থান হচ্ছিল না। আজ ছাত্রলীগের সহযোগিতা পাওয়ায় অনেক উপকার হলো।

বৃদ্ধাকে সান্ত্বনা দিয়ে জেলা ছাত্রলীগ নেতা মারুফ বলেন, রাব্বানী ভাই আপনার ছেলের বিষয়ে জানার পর এ সহযোগিতা পাঠিয়েছেন। তিনি পরবর্তীতে আরও সহযোগিতার কথা বলেছেন এবং আপনার ছেলের খোঁজ-খবর রাখছেন।