শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৬ ১৪৩১   ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিকাশের কাছে জিম্মি এজেন্টরা

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৯ শনিবার

অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ চুরি, ভেরিফিকেশন কোড চেয়ে অর্থ সরিয়ে নেয়া, গ্রাহকদের অভিযোগের কোন সুরাহা না করার অভিযোগ বিকাশের বিরুদ্ধে নতুন নয়।

এবার ডাক বিভাগের চালু করা ‘নগদ’ মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের ব্যবসা করায় বিকাশ কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ দোকানদারদের। বিকাশের পাশাপাশি নগদ এর এজেন্ট নেয়ায় দোকানদারদের নানাভাবে হয়রানি করছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ। সময় মতো মোবাইলে টাকা রিচার্জ না করে দেয়া, হুমকি দেয়া এমনকি বিকাশের এজেন্টশিপ কেড়ে নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে বিকাশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।একই অভিযোগ রয়েছে অন্য মোবাইল ব্যাংকিং  এজেন্টদেরও বিকাশ ছাড়া অন্য কোন ব্যাংকিং এর এজেন্ট হলেই তাদের বিকাশের কারণে তাদের পোহাতে হচ্ছে নানা ঝামেলা।

 

তারই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জে বিকাশের পাশাপাশি নগদ এর ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে এক দোকানদারের বিকাশ এজেন্টশিপ জোরপূর্বক বাতিল করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার বিকাশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে  একটি আবেদন পত্রও পোস্ট করেছেন, যা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভুক্তভোগী মো. আজিজুল হক ফাহিম তার আবেদনে জানান, আবির ফার্মেসি এন্ড স্টুডিও নামে কিশোরগঞ্জ সদরের পাসপোর্ট অফিসের পার্শ্বে তার একটি দোকান রয়েছে। গত দুই বছর যাবত তিনি বিকাশের এজেন্ট নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ৬ মাস আগে ডাক বিভাগের চালুকরা ‘নগদ’ এর এজেন্ট নেন এবং দোকানে বিকাশ, রকেট, শিওর ক্যাশ এর পাশাপাশি নগদ এরও ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলিয়ে রাখেন। তবে শুধু মাত্র নগদ এর ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানোর প্রথম থেকেই বিকাশের লাইন ম্যানেজার তার সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং দ্রুত নগদ এর এজেন্ট ব্যবসা বন্ধ না করলে বিকাশের এজেন্টশিপ বাতিল করে দেয়ারও হুমকি দেন। কিন্তু একজন সাধারণ ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি নগদ এরও এজেন্ট ব্যবসা চালিয়ে যাই। যার কারণে বিকাশ কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ১৫ জুন আজিজুলের বিকাশ নাম্বারের লেনদেন সাময়িক বন্ধ করে দেয় এবং ২৯ জুন পুরোপুরি বিকাশ সেবা বন্ধ করে দেয়। যার কারণে তিনি চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। বিকাশের এই নব্য প্রতারণার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদন করেন তিনি।

 

এদিকে জানা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং এ একক আধিপত্য বিস্তার করতে বিকাশ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর সাথে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করে আসছে। অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর এজেন্টদের অর্থ চুরি, ম্যানেজারকে অর্থ ছিনতাই, ভয়ভীতি প্রদর্শন, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ সরিয়ে ফেলার মতো নানা অপকর্মে লিপ্ত বিকাশ কর্তৃপক্ষ বলেও নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।