বৃহস্পতিবার   ১৪ আগস্ট ২০২৫   শ্রাবণ ৩০ ১৪৩২   ১৯ সফর ১৪৪৭

অফিসের আট তলা থেকে ঝাঁপ, তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

একটি বহুতল ভবনের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে জেসমিন মিত্র নামে এক তরুণীর মরদেহ।  তার বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুর এলাকায়। 

এজিসি বোস রোডের ওপর মিন্টো পার্ক এলাকায় তার অফিস। সেই অফিস বিল্ডিংয়ের নিচেই সোমবার দুপুরে জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

প্রাথমিক তদন্তে জানাগেছে, ওই তরুণী অফিসের আট তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ছিলেন। ঠিক কি কারণে ওই তরুণী ঝাঁপ দিলেন তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

অফিসের নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, হঠাৎ উপর থেকে বেশ ভারী কিছু নিচে পড়ার জোরালো আওয়াজ পান চিত্রকূট বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই ভবনে একাধিক বেসরকারি সংস্থার অফিস। সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তারক্ষীরা দৌড়ে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয়া হয় ভবানীপুর থানায়। পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা জানান, ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।

আটতলায় একটি গাড়ি বিমা কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। অন্য দিনের মতো এ দিন সকাল ১০টায়  অফিসে এসেছিলেন জেসমিন। অফিসে যেখানে তিনি বসতেন, সেই টেবিলের ওপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই তলারই একটি খোলা জানলার নিচে তার পায়ের জুতাও পাওয়া গেছে। খোলা জুতা এবং টেবিলে রাখা মোবাইল দেখে প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, আটতলার ওই জানলা থেকেই নিচে ঝাঁপ মেরেছিলেন জেসমিন। কিন্তু কী কারণে ওই তরুণী নীচে ঝাঁপ মেরেছিলেন, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। পাওয়া যায়নি কোনো সুইসাইড নোটও।

পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে এসএসকেএমে আসেন জেসমিনের বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১৩-য় জেসমিনের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা অনিরুদ্ধ মিত্রের বিয়ে হয়। আলাদা ধর্মে বিয়ে হলেও তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না। 

জেসমিনের স্বামী অনিরুদ্ধও একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তাকেও খবর দেয়া হয়। পুলিশ অনিরুদ্ধের সঙ্গেও কথা বলেছেন। প্রাথমিক ভাবে পারিবারিক কোনো সমস্যা পাননি তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জেসমিনের অফিসের সহকর্মীদেরও। ওই তরুণী যদি আত্মহত্যা করে থাকেন, তবে কী কারণে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভবানীপুর থানার এক কর্মকর্তা।