গর্ভবতী নারীর শরীরে দেয়া হল এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত!
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:২৩ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রক্তস্বল্পতায় ভোগার কারণে হাসপাতালে রক্ত নিতে গিয়েছিলেন এক গর্ভবতী নারী। তবে এ রক্ত নেয়াই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো। কারণ সেই রক্তে ছিল এইচআইভি এইডসের ভাইরাস। সম্প্রতি ভারতের চেন্নাইয়ের বিরুথুনগরের একটি সরকারি হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সরকার পরিচালিত একটি রক্তদানকারী প্রতিষ্ঠানের তিন ল্যাব কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে তাদের বিরুদ্ধে রক্ত নেয়ার সময় তাতে এইচআইভি আছে কি না, তা পরীক্ষা না করে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর এনডিটিভি’র।
এদিকে ঘটনার শিকার ওই নারীর স্বামী তামিলনাড়ু সরকারকে দোষারোপ করেছেন। এছাড়াও তিনি সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তার চিকিৎসা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তামিলনাড়ু সরকার জানিয়েছে, এ ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। এছাড়া আনুষঙ্গিক আরো ক্ষতিপূরণ দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছে ওই রাজ্যটির প্রশাসন।
গেল ৩ ডিসেম্বর এক যুবকের শরীর থেকে নেয়া রক্ত ওই নারীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। তবে ওই যুবক যখন রক্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটিতে রক্ত দিতে যান, তখন রক্ত পরীক্ষায় কোনো এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়েনি। পরে চাকরির জন্য বিদেশে আবেদন করার অংশ হিসেবে তিনি একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে রক্ত পরীক্ষা করাতে যান। এসময় তার রক্তে এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়ে। বিষয়টি জানার পরই তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবহিত করেন। অথচ এর আগেই ওই নারীর শরীরে রক্ত প্রয়োগ করা হয়ে যায়।
এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, দুই বছর আগে ওই যুবক একটি বেসরকারি রক্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে রক্ত দেন। তবে ল্যাব কর্মকর্তারা এসময় তাকে রক্ত পরীক্ষার কোনো তথ্য তাকে দেননি। এমনকি ওই তথ্যের কোনো কপিও তাদের কাছে সংরক্ষিত নেই।
সংক্রামক থেকে বাঁচাতে ওই নারীকে জরুরিভিত্তিতে এইচআইভি প্রতিরোধক থেরাপি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, তাৎক্ষণিকভাবে এই ভাইরাস ধরা পড়ায় তিনি হয়তো এ যাত্রায় বেঁচে যেতে পারেন। তবে তার সন্তানও এতে আক্রান্ত হয়েছে কিনা, তা ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে জানা যাচ্ছে না।