শনিবার   ১৪ জুন ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৩১ ১৪৩২   ১৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

পাকিস্তানের অর্জনে ব্যর্থতা

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৪৪ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার

শেষ হল ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। ১০ দলের বিশ্বকাপে প্রতিটি দলই এসেছিল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে। তবে ফরম্যাটের কারণে গ্রুপপর্বেই বাদ গিয়েছে ছয় দল। 

কেমন ছিল সেই দলগুলোর পথচলা? সেসব নিয়েই ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য এবারের আয়োজন (অর্জনে ব্যর্থতা)। আজকের পর্বে থাকছে পাকিস্তানের ব্যর্থ হবার গল্প। 

পাকিস্তানকে বলা হয় আনপ্রেডিক্টেবল দল। হারা ম্যাচও তারা জিতে যায়, আবার হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে বসে আচমকা। সবমিলিয়ে দলীয় পারফরম্যান্স ভালো থাকায় বিশ্বকাপে বরাবরই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরা হয় পাকিদের।

এবারের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও তাদের নিয়ে আশাবাদী মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম ছিলোনা। বিশ্বকাপের আগ মূহুর্তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারলেও একটানা ৩ ইনিংসে ৩৪০+ রান তাদের শক্তির কথাই তুলে ধরেছিল টিম পাকিস্তান। 

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে পাকিস্তান। তবে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৫ রানে অলআউট হয়ে দুঃস্বপ্নের যাত্রাই যেনো শুরু করে তারা। 

পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১৪ রানে হারিয়ে দেয় আনপ্রেডিক্টেবল দলটি। শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেলে শুরুর ৩ ম্যাচে ৩ ধরণের অভিজ্ঞতা লাভ করে পাকিস্তান। 

অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে পরপর ২ ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে যায় পাকিস্তান। ভেতরে বাইরে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনায় কোনঠাসা হয়ে পরে দলটি। খেলোয়াড়দের নামে মামলা পর্যন্ত করে দেশের এক সমর্থক। তবে এরপরই যেনো ভোজবাজির মতো উলটে যায় সব। বাকী থাকা ৪ ম্যাচ একটানা জিতে নেয় দলটি। 

তবে শেষে এসে একটানা জিতলেও সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। সেমিতে ওঠা কিউইদের সমান পয়েন্ট থাকলেও রানরেটে পিছিয়ে ছিল সরফরাজ আহমেদের দল। তাই আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত গ্রুপপর্বের বেশি এগোতে পারেনি পাকিস্তান। 

১০ দলের ভেতর পঞ্চম হয়ে শেষ করে গ্রুপপর্ব। সেমিফাইনালের তীর দেখেও যেনো ফেরত আসতে হয়ে পাকিস্তানকে। 

শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে হয়তো শেষের আফসোস থাকতো না পাকিস্তানের। আবার রানরেট ভালো রাখতে পারলেও পাকিস্তান উঠতে পারতো সেমিফাইনালে।

তবে খারাপ শুরুর পর শেষ পর্যন্ত যে ফলাফল করেছে এটিও তাদের সমর্থকদের কাছে বড় পাওয়া।