শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২   ১৮ জ্বিলকদ ১৪৪৬

সাকিবের প্রতিদিনের আয় জানলে অবাক হবেন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। নিজের অসামান্য ক্রিকেট প্রতিভা দিয়ে তিনি জয় করেছেন সারা বিশ্ব। দেশে তো বটেই, বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগগুলোতেও অন্যতম আকর্ষণ সাকিব। তাইতো অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ থেকে ক্যারিবীয় সিপিএল, ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট সবখানেই খেলেছেন তিনি। আইপিএলে তো খেলছেন আরো আগে থেকেই। 

এছাড়া বিজ্ঞাপনের বাজারেও সাকিবের আছে দারুণ চাহিদা। আছে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। ফলে বিভিন্ন মাধ্যম রহেকে প্রচুর আয় করে থাকেন এই তারকা ক্রিকেটার। স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন আসতে পারে, সাকিবের আয় কতো? তার অর্থসম্পদের পরিমাণই বা কতো? 

বিসিবির দেয়া তথ্যানুযায়ী, প্রতি মাসে সাকিব আল হাসান চুক্তি অনুযায়ী ৪ লক্ষ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। এছাড়া সহ-অধিনায়ক হিসেবে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা পান তিনি। এ হিসেবে শুধুমাত্র বিসিবির বেতন থেকেই বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আয় করেন সাকিব আল হাসান। 

 

ম্যাচ ফি থেকেও ভালো উপার্জন করেন সাকিব। প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন তিনি। ওয়ানডেতে এই পরিমাণ ২ লাখ টাকা। ২০ ওভার অর্থাৎ টি-টুয়েন্টি ম্যাচ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ম্যাচ ফি পান সাকিব। 

আইপিএলে সাকিবের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। সেখান থেকে প্রতি মৌসুমে ২ কোটি টাকা পেয়ে থাকেন টাইগার অলরাউন্ডার। চুক্তি পরিবর্তনে এই পরিমাণ বাড়তেও পারে। 

তবে এতো শুধুমাত্র বিসিবি ও আইপিএল এর হিসাব। এছাড়া রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, বিজ্ঞাপনসহ আরো বিভিন্ন মাধ্যমেই আয় করে থাকেন সাকিব। বিভিন্ন সূত্রমতে সাকিব আল হাসান গড়ে দৈনিক ১ লাখ টাকা আয় করেন।  

২০১৮ সালের এক হিসেব অনুযায়ী সাকিব আল হাসানের আনুমানিক সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৩০ কোটি টাকা। কোথাও কোথাও ২৭৬ কোটি টাকাও দেখানো হয়েছে। এছাড়া প্রতি বছর আনুমানিক ২৯ কোটি টাকা আয় করে থাকেন তিনি। 

 

তবে এতো অর্থবিত্তের পরেও স্বাভাবিক জীবনযাপনই করেন সাকিব। ব্যক্তিগত বাড়ি গাড়ির অভাব না থাকলেও নিতান্তই সহজ সরল তার চলাফেরা। বিভিন্ন সময় ভক্তদের সঙ্গে ছোট খাটো ঝামেলার কথা শোনা গেলেও সেসব নিতান্তই তুচ্ছ ঘটনা। 

বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নিয়মিত দান করেন সাকিব। গতবছর একটি অনুষ্ঠানে কাজের লোককে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া এবং একই টেবিলে বসে খাওয়ার ঘটনাও দৃষ্টি কাড়ে সবার। টাকা হলেই যে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়, এই কথাকে যেনো ভুল প্রমাণ করেছেন তিনি। 

তবুও দেশের মানুষের কাছে সাকিবকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়ে থাকে বারবার। তবে এসব নিয়ে বরাবরই নির্বিকার থেকেছেন সাকিব। এখানেই যেনো তার মহত্ব চলে যায় আরো একধাপ উপরে। 

বাংলাদেশের গর্ব সাকিব আল হাসান। আয়ের দিক থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় বলা যায় তাকে। সবকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের পারফরম্যান্সও দিন দিন আরো উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই ধারা থাকুক অব্যাহত। কারণ সাকিব ভালো খেললেই যে বাংলাদেশের লাভ। তার পারফর্মের উজ্জ্বলতায় আলোকিত হয় টাইগার ক্রিকেট।