রোববার   ১৭ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ২ ১৪৩২   ২২ সফর ১৪৪৭

এক বাঙালির হাতের জাদুতে বদলে যাচ্ছে মাটির চরিত্র (ভিডিও)

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

এক বাঙালি গবেষকের হাতের জাদুতে বদলে যাচ্ছে মাটির চরিত্র। আশ্চর্য এক রূপান্তরের গল্প এটি। একটা মাটি জীবন্ত হয়ে উঠছে ক্রমশ। কোনো সার ছাড়াই বেড়ে যাচ্ছে তার উৎপাদনের ক্ষমতা। বেশি ফসল পেতে হলে যে সার দিতেই হয়, সেই মিথকে ভেঙে দিচ্ছে এই গবেষণা। পশ্চিম বঙ্গে তো বটেই, গোটা ভারতে এমন নজির নেই। ঘটনাস্থল ফুলিয়ার কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

কী ঘটছে আসলে? পশ্চিম বঙ্গে একমাত্র সরকারি জৈব কৃষি খামার পরিণত হয়েছে প্রাকৃতিক কৃষি খামারে। জৈব কৃষি খামার মানেই চাষের সময় কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। শুধু জৈব সার ব্যবহার। আর প্রাকৃতিক কৃষি খামারে কোনো জৈব সারেরই প্রয়োজন পড়ে না। প্রকৃতি নিজে উর্বরা হয়ে মাটিকে ভরিয়ে তোলে ফসলে।

এই রূপান্তরের আড়ালে প্রধান মানুষটি হলে কৃষিবিজ্ঞানী অনুপম পাল। ঠিক ১০ বছর আগে তিনি ঠিক করলেন জমিতে জৈব সার দেয়া বন্ধ করে কেবলমাত্র ভাসমান অ্যাজোলা দেয়া হবে। প্রাকৃতিকভাবেও যে জমির উর্বরতা বাড়ানো সম্ভব, সেটাই দেখাতে চাইছিলেন তিনি। ফলও মিলল হাতেনাতে। মাটিতে জীবানুর সংখ্যা বেড়ে গেল, বেড়ে গেল জৈব পদার্থের সংখ্যাও। গাছের বৃদ্ধিও হতে লাগল তীব্র হারে। এরই মধ্যে ফসলচক্রের মধ্যে বাদামের মতো ফসলের চাষ হতো ধান চাষের আগে। তাতেও মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বাড়তো। উর্বরতর হতো মাটি।

 

১০ বছর পর দেখা গেছে মাটি ফিরে পেয়েছে তার নিজস্ব উর্বরা শক্তি। কোনো সারের সাহায্য ছাড়াই সে এখন গর্ভবতী হতে পারে বারবার। ফলে ভাসমান অ্যাজোলা দেয়াও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাসায়নিক সারের বিষ থেকে মুক্ত তো বটেই, জৈব সারের স্পর্শও নেই এই জমিতে জন্ম নেয়া ধানের গর্ভে। চাষের খরচও কমেছে অবশ্যই।

জৈব কৃষি খামারকে প্রাকৃতিক খামারে উত্তরিত করার এমন নজির গোটা ভারত বর্ষে নেই।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন