শুক্রবার   ১৩ জুন ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৩০ ১৪৩২   ১৬ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

না হেরেও বিদায় নিল নিউজিল্যান্ড!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৩৯ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বিশ্বকাপ জিতলো ইংল্যান্ড। হলো ক্রিকেটের নতুন রাজা। সুপার ওভারে ম্যাচ টাই করেও ফাইনালে জয় তুলে নেয় তারা। 

১৯৭৫ বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকেই খেলছে ইংল্যান্ড। তিনবার ফাইনাল খেললেও অধরা ট্রফি জিততে পারেনি দলটি। সর্বশেষ ১৯৯২ সালের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। 

২০১৫ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নিজেদের নতুন করে সাজায় ইংলিশরা। এ বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ব্যাট-বলে দারুণ পারফর্ম করেছে তারা। যোগ্য দল হিসেব উঠে যায় ফাইনালে। শেষ পর্যন্ত স্বপ্নের ট্রফি জয় করলো তারা। 

 

উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে সুপার ওভারে টাই করেও নিউজিল্যান্ডকে হারানোর মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। শুরুতে বল হাতে দারুণ শুরু করে তারা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ২৪১ রানে বেঁধে ফেলে কিউইদের। তবে রান তাড়া করতে নেমে ১০০ রানের আগেই হারায় ৪ উইকেট। 

হারার শঙ্কায় থাকা ইংল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন বাটলার ও স্টোকস। তাদের দুজনের শতরানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। বাটলার আউট হলে আবারও ম্যাচ কঠিন হয় তাদের।  

এরপর ওকস, প্লাংকেট, আর্চার, রশিদ কেউই তেমন স্কোর করতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখা স্টোকসের লড়াইয়ে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ শেষ পর্যন্ত টাই হয়। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে ১৫ রান করতে সমর্থ হয় ইংল্যান্ড। স্টোকস ৮ ও বাটলার ৭ রান করেন। 

১৬ রানের লক্ষে কিউইদের হয়ে ব্যাট করতে নামেন নিশাম ও গাপটিল। শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন হলেও এক রানের বেশি নিতে পারেননি গাপটিল। টাই হয় সুপার ওভারও। কিন্ত বাউন্ডারি বেশি মারায় জয়ের আনন্দে মাতে ইংলিশরা। 

 

এর সঙ্গে সঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা হলো ক্রিকেটবিশ্বের। ব্যাট হাতে সব মিলিয়ে সমান রান থাকায় তাত্ত্বিকভাবে না হেরেও রানার্স আপ হলো নিউজিল্যান্ড। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর 
নিউজিল্যান্ড ২৪১/৮ (৫০ ওভার)

নিকোলস ৫৫, লাথাম ৪৭
ওকস ৩৭/৩, প্লাংকেট ৪২/৩

ইংল্যান্ড ২৪১ (৫০ ওভার)
স্টোকস ৮৪*, বাটলার ৫৯
নিশাম ৪৩/৩, ফার্গুসন ৫০/৩

সুপার ওভার টাই 

ফলাফল : ইংল্যান্ড সুপার ওভারে “বাউন্ডারি কাউন্টে” জয়ী ।
ম্যান অফ দা ম্যাচ : বেন স্টোকস