বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২   ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

নিজের ভুলেই বাড়াচ্ছেন মাইগ্রেনের যন্ত্রণা

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৪৮ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

মাথায় তীব্র যন্ত্রণা, সেসঙ্গে গা গোলানো ভাব কিংবা মাথার একপাশ থেকে শুরু করে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়া ব্যথা— এগুলোই মাইগ্রেনের উপসর্গ। বিরক্তিকর ও কষ্টকর যে যন্ত্রণায় ভোগেন অনেকেই। কেবল নিয়মিত ওষুধ সেবন না করা বা সাবধানতা অবলম্বন না করা নয়, জীবনযাত্রায় বেশ কিছু ভুলের জন্যও বৃদ্ধি পেতে পারে মাইগ্রেনের প্রবণতা। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু কাজ বা অভ্যাসের কথা যেগুলোর কারণে মাইগ্রেনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়- 

অতিরিক্ত মানসিক চাপ- 

কর্মব্যস্ত সারাদিনে একটানা কাজ করা, সময়মতো খাবার গ্রহণ না করা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা— এগুলো মনের ওপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলে। আর এই মানসিক চাপ অতিরিক্ত হয়ে গেলে বেড়ে যায় মাইগ্রেন সমস্যা। 

নিয়মিত ঘুমের অভাব- 

প্রতিদিন কয় ঘণ্টা ঘুমান আপনি? চেষ্টা করবেন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে। সেটা সম্ভব না হলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। যতক্ষণই ঘুমান না কেন তার মাত্রা ঠিক রাখুন। একদিন অনেকক্ষণ ঘুমালেন আবার একদিন খুব কম সময় ঘুমালেন— এমনটা করবেন না। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

অতিরিক্ত চিনি সেবন- 

রক্তে চিনি বা সুগারের পরিমাণ বেড়ে গেলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই, অতিরিক্ত চিনি কিংবা অ্যাডেড সুগার রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে চাইলে খেতে পারেন, তবে তা নির্দিষ্ট পরিমাণে। 

বেমানান আবহাওয়া- 

খুব কড়া রোদ কিংবা অতিরিক্ত বৃষ্টি— দুটোই মাইগ্রেনের জন্য হিতকর। তাই যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের খুব গরম বা খুব আদ্র পরিবেশ এড়িয়ে চলা উচিত। আর যদি এমন পরিবেশে হাঁটাচলা করতেই হয় তবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিন। 

সময়মতো না খাওয়া- 

দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ দেখা দেয়। আর মাইগ্রেন বাড়াতে গ্যাস্ট্রিকের জুড়ি নেই। তাই গ্যাস্ট্রিক এড়াতে খালি পেটে না থাকাই উত্তম। 

হঠাৎ করে কফির অভ্যাস ছাড়া- 

কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা হঠাৎ করে বন্ধ করতে যাবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইগ্রেনের রোগীরা হঠাৎ করে ক্যাফিন গ্রহণ বন্ধ করে দিলে সমস্যা বাড়তে থাকে। কফি যদি ছাড়তেই চান তবে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। প্রয়োজনে ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

শব্দদূষণ- 

একনাগাড়ে জোরে আওয়াজ, অতিরিক্ত শব্দ, গাড়ির হর্ণ— ইত্যাদি মাইগ্রেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এসব শব্দদূষণ স্নায়ুর ওপর চাপ ফেলে যা মাইগ্রেনের সমস্যার জন্য খুবই হিতকর। তাই এসব থেকে দূরে থাকুন। 

এসব এড়িয়ে চললে ও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললে যন্ত্রণাদায়ক মাইগ্রেন থেকে স্বস্তি পাবেন অনায়াসে।