শনিবার   ১৭ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২   ১৯ জ্বিলকদ ১৪৪৬

কুমারা ধর্মসেনা, খেলোয়ার থেকে বিচারক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৫৯ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৯ রোববার

নামটা ক্রিকেট বিশ্বে অনেক পরিচিত। শ্রীলংকার হয়ে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিলেন কুমারা ধর্মসেনা। ডাক নাম উনান্দাওয়া। ডান হাতি অফ স্পিনার এবং ডান হাতে ব্যাটিং করা ধর্মসেনা ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পরেই নেমে পড়েন আম্পায়ারিং পেশায়। এখানেও পেয়েছেন সাফল্য।

ক্রিকেটার হিসেবে লংকানদের হয়ে প্রথম মাঠে নামেন ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অফ ব্রেক বোলিং করলেও তার বোলিং একশন নিয়ে ছিল নানা সন্দেহ। ১৯৯৮ সালে তার বোলিং একশন পরীক্ষা করা হয় এবং তাকে নিষিদ্ধ করা হয়।

২০০০ সালে বোলিং একশন ঠিক করে ক্রিকেটে ফিরলেও টেস্টে তেমন বোলিং করতে দেখা যেতো না তাকে। ধর্মসেনা লংকানদের ৫৯তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেমেছিলেন। টেস্টে একটি রেকর্ডও নিজের দখলে রেখেছেন। শূন্য রানে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৭২টি ইনিংস খেলেছেন ওয়ানডেতে। ৭৩ তম ইনিংসে এসে প্রথম শূন্য রানে আউট হন। যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড।

 

 

 

 খেলোয়াড় হিসেবে ২০০৬ সালে অবসর নেওয়ার পর ঘোষণা দেন তিনি আম্পায়ারিংয়ে আসবেন। ২০০৯ সালে শ্রীলংকার ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ‘সারা ট্রফি’তে আম্পায়ারিংয়ের মাধ্যমে সূচনা হয় তার নতুন পথচলা। ২০০৯ সালেই অভিষেক ঘটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ডাম্বুলায় শ্রীলংকা ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন ধর্মসেনা। শ্রীলংকার সবচেয়ে কমবয়সী আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করার দায়িত্ব পালন করেন ঐ ম্যাচে। 

২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের এলিট আম্পায়ার প্যানেলে সুযোগ করে নেন। ২০১২ সালে জয় করেন আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের ট্রফি। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আইসিসির ২০ সদস্যের আম্পায়ার প্যানেলেও যোগ দেন ধর্মসেনা। অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার বিশ্বকাপ ফাইনালেও আম্পায়ার হিসেবে তিনি ছিলেন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। 

 

 

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছিল তার সাফল্যের ছড়াছড়ি। ভালো আম্পায়ারিং করে সবার মন জয় করে নেন তিনি। ১৮টি ম্যাচের পাশাপাশি ফাইনালেও আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ধর্মসেনা। 

তবে এক নাম্বার আম্পায়ার হয়েও কিছু ম্যাচে অনেক বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এই লংকান আম্পায়ার। ২০১৬-১৭ সালে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের সময় টেস্ট ম্যাচে তিনি ৩ বার ভুল সিদ্ধান্ত দেন যেগুলো রিভিউয়ের মাধ্যমে পালটে যায়। ২০১৮ সালের বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কারও জোটে তার কপালে। 

 

২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ১৫ সদস্যের আম্পায়ার প্যানেলে তাই অবধারিতভাবেই তিনি থাকবেন সেটি অনুমেয়ই।