রোববার   ১৮ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩২   ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

‘ভালো খেলে জিততে পারলে সেটা হবে আনন্দের’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:২৭ এএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই উত্তেজনার লড়াই। সেটা যেমন মাঠে, তেমন মাঠের বাইরে। সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সর্বত্রই আলোচনা-সমালোচনা আর বিতর্কের ঝড়। 

মাঠে খেলেন মাশরাফী-কোহলি, আর গ্যালারি-ফেসবুক-টুইটারে চলে দুই দেশের সমর্থকদের লেখার যুদ্ধ।

২ জুলাই, মঙ্গলবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে সেমির লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে টাইগাররা মোকাবেলা করবে বিশ্বকাপে সবচাইতে ধারাবাহিক দল ভারতের।

 

বিশ্বকাপে সমীকরণ যা দাঁড়িয়েছে তাতে মাশরাফীরা হেরে গেলেই সব শেষ। ওদিকে কোহলিরাও খুব একটা স্বস্তিতে নেই।  

গতকাল ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শেষ চারের পথ নিশ্চিত করতে পারেনি ভারত। বাংলাদেশের কাছে হেরে গেলে শ্রীলংকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠবে তাদের জন্য বাঁচা-মরার। ফলে ভারত চাইবে আগামীকালই শেষ-চার নিশ্চিত করতে।

আর তাই এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচ জয়ে মাথা ঠান্ডা রাখার কোনো বিকল্প দেখছেন না টাইগার দলপতি মাশরাফী, তিনি বলেন ‘যত ঠান্ডা থাকা যায় তত ভালো। কারণ হাইপটা এভাবে তৈরি হয়, প্লেয়ারদেরও স্নায়ু ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ হলো স্নায়ু ধরে রাখা এবং প্রতিনিয়ত মাঠে গিয়ে আমরা যে জিনিসগুলো করছি সেগুলো ঠিকমত করা। ম্যাচের শুরুতে স্নায়ু উত্তেজিত হয়ে যায়। তারপর আস্তে আস্তে ঠিক হয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাঠে নেমে স্বাভাবিক থাকা। কালকে ম্যাচে জিততে গেলে ভালো খেলে জিততে হবে।’

সেমি ফাইনালের পথে বিশ্বকাপের সমীকরণ নিয়ে ম্যাশ বলেন, ‘অন্যদের দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। এই পর্যন্ত এসেছি তিনটা ম্যাচ জিতেছি, আর একটা বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে। যে কয়টা জিতেছি ভালো করেই জিতেছি। এই ধরনের টুর্নামেন্টে অন্যদের দিকে তাকিয়ে থেকে মনে করি না লাভ আছে। কালকের ম্যাচ হারলে হয়তো আমাদের বিশ্বকাপ শেষ। হয়তবা ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে অন্যরকম কিছু হতো। এটা একটা ভালো চ্যালেঞ্জ, যদি আমরা ভালো খেলে জিততে পারি। সেটা হবে আনন্দের।’