রোববার   ১৮ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩২   ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:২৫ এএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাস খুব একটা দীর্ঘ না হলেও কম অর্জনের নয়। ১৯৯৯ সাল থেকে মাত্র ছয়বার বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। সেরা সাফল্য ২০১৫ এর কোয়ার্টার ফাইনালের চৌকাঠ পর্যন্ত। সাফল্য আর ব্যর্থতায় কেবল অভিজ্ঞতাই বেড়েছে। 

কাল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খেলা ভারতের বিপক্ষে। কিন্তু সময়ের আবর্তে এ পর্যন্ত  বাংলাদেশ বিশ্বকাপ আসরে ভারতের বিপক্ষে মাত্র তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। 

ভারত-বাংলাদেশ প্রথম মুখোমুখি হয় ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে। তখন একই গ্রুপে পড়েছিল দুই দল। প্রথম দেখায় পরাশক্তি ভারতকে বিদায় করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দেখা ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। সে ম্যাচে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ে ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশ বিদায় নেয়। এ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্বকাপে মোকাবেলার পরিসংখ্যান দেখা যাক:      

২০০৭ বিশ্বকাপঃ
১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ দল হিসেবে ভারতকে পায়নি। প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম জয় আসে গ্রুপের তিন নম্বর ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছিল একদমই বিবর্ণ। ২০০৩ বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও জয় পায়নি বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারত তখন ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রথম ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়।

 

 

 

নানা সমীকরণ, অভিজ্ঞতা এবং শক্তিমত্তার বিচারে ভারতই এগিয়েছিল । টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলো ভারতের অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে গুটিয়ে যেতে থাকে ভারত। সেদিন বোলিং দুর্দান্ত হয়ে উঠেন মাশরাফী, মোহাম্মদ রফিক ও আব্দুর রাজ্জাক। বোলিং তোপে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ ছন্নছাড়া হয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করে। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত অর্ধশতক ইনিংসে ৫ উইকেট হাতে রেখেই ৪৮ ওভার ৩ বলেই ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ এবং গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় ভারত।             

২০১১ বিশ্বকাপঃ

 

 


বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকা যৌথভাবে ২০১১ বিশ্বকাপ আয়োজন করে। ওই আসর বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপ মঞ্চ। আয়োজক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের উদ্ভোধনী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে দুই দলের দ্বিতীয় মুখোমুখি লড়াই ছিল এটি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বীরেন্দর শেবাগের ও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩৭০ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ভারত। 

৩৭১ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। কিন্তু ভারতের বোলিং তোপে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান অর্ধ শতকের দেখা পেলেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি। সেদিন ২৮৩ রান সংগ্রহ করেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

২০১৫ বিশ্বকাপঃ

 

 


২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দেখা হয় বাঁচা-মরার লড়াই কোয়ার্টার ফাইনালে। ম্যাচটি ছিলো আম্পায়ারিং বিতর্কিত একটি ম্যাচ। টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ম্যাচে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা রুবেল হোসেনের ফুলটস বলে স্কোয়ার লেগে ক্যাচ উঠিয়ে দেন, কিন্তু আম্পায়ার সে বলটি নো-বল হিসেবে গণ্য করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন। ফলে রোহিত শর্মা মাঠে থেকে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। পরবর্তীতে রিপ্লেতে দেখা যায় বলটির উচ্চতা কোমরের নিচেই ছিল, যেটি নো-বল হিসেবে গৃহীত হয় না।

সে যাত্রায় বেঁচে যাওয়া রোহিত শর্মার ইনিংসের উপর ভর করে ভারতের সংগ্রহ ৩০২ রান। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করতে পারেনি। সেদিন ৪৫ ওভারে ১৯৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত মোট তিনবার মুখোমুখি হয় ভারত –বাংলাদেশ। যেখানে ভারত দুই ম্যাচ ও বাংলাদেশ এক ম্যাচে জয় লাভ করে।

কাল চতুর্থবারের মতো মুখোমুখি হবে দু ‘দল। দেখা যাক এবার কাদের পালা। বাংলাদেশ কে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই জিততে হবে আর ভারত জিতলে তাদের পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান মজবুদ হবে।