রোববার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৫ ১৪৩২   ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

টুথপিকের ব্যবহার ক্ষতি করতে পারে দাঁতের!

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৫:৪৪ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

বাঙালি ভোজনপ্রিয়। খাওয়া-দাওয়ার সময়ে মাঝে মধ্যে বাছবিচার চললেও খেতে ভালবাসে না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয় খাবেন, অথচ দাঁতের ফাঁকে এক টুকরো খাবারও ঢুকবে না, এমন হয় নাকি! মাংসের টুকরা বা পানের ছিবড়ে অসাবধানতাবশত ঢুকেই গেল ধরুন। তারপর তো জিভের ডগা দিয়ে ঘোরাতে হবে যতক্ষণ না বেরোয়। আর না বেরলে সোনায় সোহাগা। কাজ কর্ম লাটে উঠবে। মন পড়ে থাকবে ওই দিকেই। অস্বস্তি নিয়ে কাটাতে হবে সারাটা দিন।

এইসব ঝামেলা থেকে আমাদের মুক্তি দিতেই বোধহয় টুথপিক-এর আবির্ভাব হয়েছিল। ছুঁচলো মুখটা দিয়ে খানিক খুঁচিয়ে নিলেই সমাধান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার হয় টুথপিক। কিন্তু যে পদ্ধতিতে আমরা অধিকাংশই টুথপিক ব্যবহার করে থাকি, সেটা সঠিক নয়।

তীক্ষ্ণ অংশটি দিয়ে দাঁত খোঁচানোর পরে সাধারণত আমরা পুরো বস্তুটাই ছুড়ে ফেলে দিই, বা অন্যত্র সরিয়ে রেখে খাওয়ায় মনোনিবেশ করি। পরে ভুলবশত ওই টুথপিকটিই আবার ব্যবহার হতে পারে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। সে জন্য ব্যবহারের আগেই পিছনের খাঁজকাটা অংশটি ভেঙে ফেলা উচিত। তা দেখে বোঝা যাবে এটি ইতিমধ্যেই ব্যবহৃত। সেই সঙ্গে এই কাজ করার আরও একটি কারণ হল, পিছনের অংশটি যাতে মাড়ির বা দাঁতের কোন ক্ষতি করতে না পারে, তা সুনিশ্চিত করা।

একপাশে খাঁজ কাটা টুথপিকগুলির প্রথম সূত্রপাত হয় জাপানে। তারপর ছড়িয়ে পড়ে দিগবিদিকে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেটাল টুথপিকেরও প্রচলন রয়েছে।