বাংলাদেশের ম্যাচেই কেন আলিম দার!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৩৭ এএম, ২৬ জুন ২০১৯ বুধবার

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে টাইগাররা। এখনো সেমি ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে আফগানদের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বিতর্কিত আম্পায়ারিং।
পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দারের পক্ষপাতিত্বই ঘটাতে পারত বিকল্প কিছু। বারবারই বাংলাদেশের ম্যাচে কেন বিতর্কিত এই আম্পায়ার? সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়িয়ে সব জায়গায় এই একই প্রশ্ন।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে জিতলে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার আশা বেঁচে থাকবে বাংলাদেশের। এমন ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে আবারো আলিম দারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার বাংলাদেশ!
গত বিশ্বকাপে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয় টাইগাররা। ভারতের কাছে ম্যাচটি ১০৫ রানে হারে মাশরাফীর দল। সে ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। তারা একজন ইংলিশ অন্যজন পাকিস্তানি। দুইজনই বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।
গতকালের ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন রিচার্ড ক্যাটেলব্রো ও তৃতীয় আম্পায়ার আলিম দার। কিন্তু বিশ্বকাপে বারবার কেন বাংলাদেশের বিপক্ষেই পাকিস্তানি আলিম দার ও ইংলিশ আম্পায়ার দেয়া হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।
এ ব্যাপারে ক্রিকেট ভক্তদের মত সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা ভালো চোখে দেখছেন না।
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ পারভিন পুতুল বলেন, ক্রিকেটের সব কিছুই নির্ধারণ করে আইসিসি। ওয়ার্ল্ড কাপের মত বড় আসরে এত বড় ভুল নিন্দনীয়। তবে ব্যাপারটা যাই হোক ভালো হয়নি। ক্রিকেটের সৌন্দর্য নষ্ট হলো।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ক্রিকেটের আইনে বেনিফিট অফ ডাউট সব সময় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়। শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে যায় না। তবে বিসিবি চাইলে প্রতিবাদ করতে পারে। এই অধিকার আছে। এছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট। কিন্তু এখন তা শুধু এক পক্ষেরই’।
এছাড়া বরাবরের মত পাকিস্তানি ও ইংলিশ আম্পায়াররা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত দিয়ে তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গী হয়েছিলেন লিটন। ১৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ব্যক্তিগত ১৬ রানে মুজিবের বলে যখন লিটন খুব ধীরে ডিফেন্স করেছিলেন তখন সেটা ক্যাচ উঠে যায়। তবে সে ক্যাচ আফগানিস্তানের ফিল্ডার হাশমতুল্লাহ শাহিদি ধরে ফেলার আগেই ঘাস স্পর্শ করে। ক্যাচটি হাশমতুল্লাহ শাহিদি যথার্থভাবে তালুবন্দি করতে পারেননি।
ফিল্ড আম্পায়ার নিশ্চিত ছিলেন না আউট নিয়ে। তাই ডাকা হয় তৃতীয় আম্পায়ার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি শহিদির হাত ছুয়ে মাটি স্পর্শ করেছে। অনেকক্ষণ ধরে দেখার পরেও টিভি আম্পায়ার নিশ্চিত হতে পারছিলেন না, এটি আউট কি না। এক্ষেত্রে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ সবসময় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ার লিটনকে আউট ঘোষণা করেন!
গোটা বিশ্ব দেখল এটা ড্রপ ক্যাচ অথচ থার্ড আম্পায়ার দেখলেন এটা আউট। লিটন দাসকে থার্ড আম্পায়ারের মাধ্যমে যেভাবে আউট দেয়া হয়, তা রীতিমত প্রশ্নবিদ্ধ এক সিদ্ধান্ত। বিশ্বকাপ এলেই কেনো বাংলাদেশের শত্রু হন এই পাকিস্তানি আম্পায়ার তা সত্যিই গবেষণার বিষয়।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চাইলে ম্যাচের আগেই আলিম দারকে নিয়ে তাদের অভিযোগ দিতে পারত বিশ্বকাপ পরিচালনা পরিষদের কাছে। তাহলে আইসিসি বিষয়টা বিবেচনা করত।