মঙ্গলবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩২   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

উদ্বেলিত বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজন : আমরাই সেরা

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৪৪ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ঢাকার ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে মাঠে নেমে বাজিমাতের নজির নেই বললেই চলে। তবে ইতিহাস জানাচ্ছে, ১৯৯৪ সালে আবাহনী ও মোহামেডানের একঝাঁক মেধাবি ফুটবলার দলে ভিড়িয়ে কোচ কাজী সালাউদ্দীন আহমেদের (বর্তমান বাফুফে সভাপতি) প্রশিক্ষণে নুতন অবকাঠামো, অবয়ব ও নতুন শক্তিতে আবির্ভুত হয়ে কাগজে কলমে প্রথম শক্তিশালী ও বড় দল গড়ে মাঠে নেমেই ফেডারেশন কাপ জিতেছিল মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র।

এবার ক্লাব পর্যায়ের সর্বোচ্চ আসরে প্রথম পা রেখে অভিষেকেই প্রায় শিরোপা জিততে বসেছিল বসুন্ধরা কিংস। তবে আবাহনীর সাথে ফাইনালে পারেনি স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।

সেই না পারার আক্ষেপ ঘুচেছে স্বাধীনতা কাপ বিজয়ে। বসুন্ধরা শিবিরে তাই রাজ্য জয়ের উল্লাস। ভক্ত ও সমর্থকরাও আনন্দে আত্মহারা! স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনও উদ্বেলিত। তার অনুভব বসুন্ধরাই এখন দল হিসেবে সবার সেরা।

ফাইনাল শেষে সংবাদ সন্মেলনে তার প্রথম কথায় পরিষ্কার সে আভাস, ‘উই আর দ্য বেস্ট টিম।’ কোচ হিসেবে এই সেরা দলের নৈপথ্য কারিগর তিনি। তার সাজানো ছক, ফরম্যাট আর কৌশলেই মিলেছে সাফল্য।

প্রতিপক্ষ শেখ রাসেল যেখানে বড় সময় বলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল, গোলের সুযোগও সৃষ্টিতেও সাইফুল বারী টিটুর দলের প্রাধান্য ছিল পরিষ্কার; কিন্তু স্পেনিশ কোচ অস্কার ব্রুজন তাতে ভড়কে না নিয়ে নিজ দলের রক্ষণদূর্গ আগলে সুযোগ বুঝে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর কৌশল আঁটেন। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য; কিন্তু কোচ সব কৃতিত্ব দিতে চান ফুটবলারদের।

অস্কার ব্রুজনের অনুভব, উপলব্ধি- ‘ওরা অনেক পরিশ্রম করেছে। সে কঠোর পরিশ্রমের পুরষ্কার এই সাফল্য। ফুটবলাররা তিনটি ম্যাচ ১২০ মিনিট করে খেলেছে।’

ফাইনালের জূসূচক গোলদাতা মতিন মিয়া ও আসর সেরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বসুন্ধরা কোচ, ‘জিকো শুধু ফাইনাল নয় পুরো টুর্নামন্টে জুড়েই ভালো খেলেছে। মতিনও ভালো খেলোয়াড়। সুযোগগুলো সে ভালোভাবেই কাজে লাগাতে পারে।’

এদিকে যার গোলে বসুন্ধরা পেয়েছে প্রথম ট্রফির স্বাদ, সেই মতিন মিয়াও যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। তার উচ্ছ্বাসমাখা সংলাপ, ‘দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

কোচ তাকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামান। আর সেই বদলি খেলোয়াড় হয়ে মাঠে নেমে জসূচক গোল করে ফাইনালের হিরো মতিন। তার কাছে এটা কোচের আস্থার প্রতিদান। এ জন্য রাজ্যের সন্তুষ্টি মনে।

বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামানো সম্পর্কে মতিনের মন্তব্য, ‘কোচ তার কৌশলমতো আমাকে ব্যবহার করেন। আমি পাঁচ মিনিটের জন্য খেললেও নিজের সেরাটা দিয়ে গোলের চেষ্টা করি।’