বৃহস্পতিবার   ২০ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর হতে ১০ নির্দেশনা

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:১৮ এএম, ২৩ জুন ২০১৯ রোববার

আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের তিন বছর পূর্ণ হবে অক্টোবর মাসে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই মাসেই সম্মেলন করার নিদের্শনা আছে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার। আর এই সম্মেলন কাউন্সিলর হতে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে দলটি। আগামী ঈদুল আযহার পর পরই এই নির্দেশনাগুলো তৃণমূলে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, আগামী কাউন্সিলর হবে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতারা। এ জন্য দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনাও দিয়েছেন। কোনো সুবিধাবাদী, অন্যদল থেকে আসা তাদের ঠাই হবে না বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টিকরা আওয়ামী লীগে। যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আভাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

দলীয় প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী সুবিধাবাদী, বিএনপি-জামায়াত, মামলার আসামি, মাদক ব্যবসায়ী অভিযোগে অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না।

 

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এই নির্দেশনা মেনেই আগামী সম্মেলনের আগেই জেলা ও মহানগরের কমিটি সম্পন্ন করার জন্য কাউন্সিলর নিবার্চন করতে বলা হয়েছে। 

যে দশটি নির্দেশনা মেনে সম্মেলনের কাউন্সিলর নিবার্চন করতে হবে-

১. বিএনপি জামায়াত বা ইউনিয়ন বা উপজেলার অন্য কোনো দলের জনপ্রতিনিধি হতে পারবে না।
২. মামলার আসামি অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি কাউন্সিলর হতে পারবে না।
৩.জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদী, মৌলবাদী, অভিযোগে অভিযুক্তরা কাউন্সিলর হতে পারবে না।
৪. নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত বা মামলার আসামি কাউন্সিলর হতে পারবে না।
৫. কাউন্সিলর হতে কমপক্ষে ২০০৮ সাল বা তারও আগের থেকে আওয়ামী লীগের সদস্য হতে হবে।
৬. নিবার্চনের সময় যারা নৌকা প্রতীক ও নৌকার বিরোধীতা করেছে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলো তাদেরকে কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত কারা যাবে না।
৭. যে কোনো কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এমন কোনো ব্যক্তি কাউন্সিলর হতে পারবে না।
৮. মাদক ব্যবসায়ী বা এর সঙ্গ জড়িত বা অপরাধ মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত এমন কোনো ব্যক্তি দলের নিদের্শনা অনুযায়ী কাউন্সিলর হতে পারবে না।
৯. এমপি বা মন্ত্রীর পিএস বা এপিএস কর্মচারীরা কাউন্সিলর হতে পারবে না।
১০. জেলা, মহানগর নেতাদের ব্যক্তিগত কর্মচারী কাউন্সিলর হতে পারবে না।

 

কার্যনিবাহী সংসদের সদস্যরা পদাধিকার বলে কাউন্সিলর নিবার্চন করতে পারবেন। আগামী ঈদের পর থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সব সম্মেলন শেষ করার তাগিদও দেয়া হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আভাস দিয়েছেন। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেয়ে বিরোধীতাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আভাস দিয়েছেন। এজন্য একটি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকও হয়েছে- এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী অক্টোবর মাসেই সভানেত্রীর নির্দেশে  সম্মেলন হবে। জাতীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূলে সব কমিটি সম্পন্ন করতে তাগিদও দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এজন্য আটটি টিম গঠন করে কাজ করা হচ্ছে।