মঙ্গলবার   ১৭ জুন ২০২৫   আষাঢ় ২ ১৪৩২   ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ইমরান খানের পরামর্শ না শোনার মাশুল দিলেন সরফরাজরা!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৪০ এএম, ১৭ জুন ২০১৯ সোমবার

সরফরাজ আহমেদকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরামর্শ দিয়েছিলেন টস জিতলে ব্যাটিং করার জন্য। কিন্তু ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের পরামর্শ না শুনে ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ। তবে শেষ পর্যন্ত পরামর্শ না শোনার মাশুল দিতে হয়েছে সরফরাজদের।

রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে ভারত-পাকিস্তানের মহারণ শুরুর আগে টুইটবার্তায় ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানকে জিততে হলে আগ্রাসী কৌশল নিতে হবে। আর সেজন্য যদি পিচ খুব খারাপ না হয় তাহলে টস জিতে প্রথমে সরফরাজদের ব্যাটিং নেওয়া উচিত।

কিন্তু ইমরান খানের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারের পরামর্শ না শোনার মাশুল হাড়ে হাড়ে দিতে হয়। পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করে সেঞ্চুরি করেন রোহিত শর্মারা। অনবদ্য ব্যাটিং করে ১১৩ বলে ১৪০ রান করেন রোহিত। এছাড়া বিরাট কোহলি (৭৭) ও লোকেশ রাহুলের (৫৭) জোড়া ফিফটিতে ৩৩৬/৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।

 

ভারতের বিপক্ষে ৩৩৭ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে দলীয় ১৩ রানে ওপেনার ইমাম-উল হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ফখর জামান ও বাবর আজমের ১০৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তান।

এক উইকেটে ১১৭ রান করা পাকিস্তান এরপর মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায়।

পাকিস্তান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৫৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। নিজের ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ফখর জামানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন কুলদীপ।

৭৫ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে ফেরেন ফখর জামান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ছক্কায় ইনিংস শুরু করা মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পান্ডিয়ার বলে বোল্ড শোয়েব মালিক।

দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেনননি পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তিনি ফেরেন ৩০ বলে মাত্র ১২ রান করে।

 

এরপর পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে ব্যাটিং করে যান ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খান। ৩৫ ওভারের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৬৬ রান। এমন অবস্থায় ফের বৃষ্টির বাগড়া।

পরে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে ৬ উইকেটে ২১২ তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ফখর জামান। এছাড়া ৪৮ রান করেন বাবর আজম। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। বৃষ্টি আইনে ৮৯ রানে জয় পায় ভারত।