মঙ্গলবার   ১৭ জুন ২০২৫   আষাঢ় ২ ১৪৩২   ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

আর্জেন্টিনার এমন অসহায় আত্মসমর্পণ কেন?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ১৬ জুন ২০১৯ রোববার

এটাকে তো অসহায় আত্মসমর্পণও বলা যায়! কারণ কলম্বিয়ার সঙ্গে আর্জেন্টিনার শূণ্য গোলে মাঠ ছেড়ে আসার বিষয়টা একটু হলেও ভিন্ন। তাছাড়া ১৯৯৯ সালের পর কখনই কোপাতে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি তারা। এবার পারলো, তাও ২-০ গোলে। শুধু তাই নয়, আক্রমণ ও বল দখলের দিক দিয়েও এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া।

আর্জেন্টাইনদের এমন আত্মসমর্পণের জন্য দায়ি ছিল তাদের ছন্দহীন খেলা এবং ধারহীন আক্রমন। এলোমেলো, ছন্নছড়া ফুটবলের পসরা যেন সাজালেন তারা। মেসি বলের যোগানও পাননি। বল পেতে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক নামতে হয়েছে নিচে। তারপরও পাস পাননি! প্রতিপক্ষের ডিবক্সের ভেতর তাই প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা বল ছুঁয়ে দেখল ওই একবারই।

সবচেয়ে বেশি হতাশার ছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। কলম্বিয়া যে প্রথমার্ধে আর গোল দিতে পারেনি সেটা আর্জেন্টিনার সৌভাগ্যই ছিল। গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আর্মানির ভুলে কপাল পুড়তে পারত আর্জেন্টিনার। নিচ থেকে বিল্ড করে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলেন না আর্মানি। তবুও প্রতিপক্ষের প্রেসিং উপক্ষে করে সেটাই করতে গেলেন ৩০ মিনিটে।

 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেতে পারতো আর্জেন্টিনা। কিন্তু প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে মিডফিল্ডার লেয়ান্দ্রো পারেদেসের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৫তম মিনিটে বল পায়ে এক জনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি, কিন্তু শট নিতে দেরি করে ফেলেন। ৬৬তম মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগ হারায় আর্জেন্টিনা। ওতামেন্দির হেড গোলরক্ষক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর আলগা বল ছোট ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন বার্সেলোনা তারকা।

বিরতির পর কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়া কলম্বিয়া ৭১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল আদায় করে নেয়। মাঝ মাঠ থেকে হামেস রদ্রিগেসের লম্বা ক্রস বাঁ দিকে পেয়ে একজনকে কাটিয়ে কোনাকুনি এগিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন ফরোয়ার্ড মার্তিনেস।   

৮৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সাপাতা। বাঁ দিক থেকে মিডফিল্ডার জেফারসন লের্মার বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় প্লেসিং শটে ঠিকানায় পাঠান আতালান্তার ফরোয়ার্ড। বাকি সময়ে এই ব্যবধান ধরে রেখে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কলম্বিয়া।

বি গ্রুপে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ম্যাচ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচ হেরে গেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পথ অনেকটাই ঝুলে যাবে আর্জেন্টিনার।