সমর্থকের বিচিত্র সাজ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ১১ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

চলছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯। ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা ১০ দল মুখোমুখি হয়েছে একে অপরের। হচ্ছে খেলা, চলছে হিসেব নিকেশ। তবে এত কিছুর বাইরেও বিশ্বকাপের মাহাত্ম্য অন্যখানে। আর সেটি হলো দর্শক উপস্থিতি। আর বিশ্বকাপ উৎসব পূর্ণতা পায় সমর্থকদের রং-বেরংয়ের সাজে।
ফুটবল বিশ্বকাপে আধিক্য দেখা গেলেও ক্রিকেট বিশ্বকাপও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বকাপে মাঠে গড়িয়েছে গোটা পনেরো ম্যাচ। এর মাঝেই বাহারী সাজে দর্শকদের উপস্থিতি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে উৎসবের মাত্রা। বিভিন্ন ম্যাচে দেখা গিয়েছে ভিন্ন সাজের সমর্থকদের।
প্রথমেই বলতে হয় বাংলাদেশী সমর্থকদের কথা। মাথায় ঝাঁকড়া চুল লাগিয়ে আর হাতে ঝুনঝুনি লাগিয়ে পুরোটা সময় ধরে টাইগারদের সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কথা আসলেই সবার মনে আসবে প্রিয় শাহীন ভাইয়ের কথা।
দেশ হোক বা বিদেশ, জাতীয় দলের খেলা মানেই শাহীন ভাই স্টেডিয়ামে। এছাড়া টাইগার আলী, টাইগার শোয়েবদেরও দেখা গিয়েছে এবারের বিশ্বকাপের মাঠে।
এছাড়া ইংরেজদের বাহারী পোশাকে খেলা দেখতে আসার কথা কে না জানে। তবে এবার আলাদাভাবে নজর কেড়েছে আম্পায়ারের সাজে সেজে আসা দুই ব্রিটিশ সমর্থক।
এরপর বলতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু তরুণ তরুণীর কথা। তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়েই চলে এসেছে সমর্থন দিতে। অনেকটা বন্য মানুষের মতো পোশাক পড়েই নেচে গেয়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে দলকে।
আলাদাভাবে বলতে হয় ভারতীয় সমর্থকদের কথা। তাদের একদল তো নিজেদের চোখের মণির রঙই ভারতীয় পতাকার আদলে করে নিয়েছে। সারা গায়ে ও মুখে পতাকার রঙ মেখে আসা সুধীর তো আছেনই। এছাড়াও বৈচিত্রময় সাজে স্টেডিয়ামে আসছে তাদের বিপুল পরিমাণ দর্শক।
পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের সমর্থকরা তো পতাকার পোশাক বানিয়েই চলে এসেছেন স্টেডিয়ামে।
একই ভাবে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকাসহ সব দেশের সাপোর্টাররা আসছেন বাহারী সাজে। সমর্থন দিচ্ছেন নিজের দলকে, বাড়াচ্ছেন বিশ্বকাপের সৌন্দর্য্য।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার, এক দেশের সমর্থকদের সঙ্গে অন্য দেশের সমর্থকদের রেশারেশির কিছু শোনা যায়নি। উল্টো বিভিন্ন সময় গলায় গলা মিলিয়ে, হাত হাত রেখে আনন্দ করতে দেখা গিয়েছে সবাইকে। সবাই যেনো ভাই-ভাই, সবাই যেনো পরম আত্মীয়।
বিশ্বকাপের সফলতা তো এখানেই। পৃথিবীর সবাইকে নিয়ে একসাথে চলা, পাশাপাশি একসঙ্গে মিলে থাকা এসবের পরিপূর্ণ সার্থকরূপ দেখা যায় বিশ্বকাপে। যেখানে খেলায় জয় পরাজয়ের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে পরস্পরের ভ্রাতৃত্ববোধ।
এখানেই জয় হয় বিশ্বকাপের, জয় হয় ক্রিকেটের।