শুক্রবার   ২২ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ৬ ১৪৩২   ২৭ সফর ১৪৪৭

নারীদের খুনের পর শান্তভাবে বসে শিকারের ছবি আঁকতেন তিনি!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৩১ এএম, ১০ জুন ২০১৯ সোমবার

তিনটি খুনের দায়ে তিনটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে তাকে দণ্ডিত করেছিল আদালত। তবে, পরবর্তীকালে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সে নাকি ৬০টিরও বেশি খুন করেছে। এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দী ৭৯ বছরের সেই খুনি স্যামুয়েল লিটল ৷

টেক্সাস এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ৬০ জনেরও বেশি নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে লিটল। 

গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন ওহাইওর আইনজীবীরা। এতদিন পর্যন্ত গ্যারি রিজওয়ে ওরফে গ্রিন রিভার কিলারকেই আমেরিকার সব থেকে সাংঘাতিক সিরিয়াল কিলারের অ্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল। লিট্লের স্বীকারোক্তির পর আপাতত তাকেই আমেরিকার সব থেকে নৃশংস সিরিয়াল কিলার বলছে পুলিশ।

 

হল্যান্ডকে স্বীকারোক্তিতে লিটল বলেছে, গত চার দশক ধরে ৬০ জনেরও বেশি নারীকে শ্বাসরোধ করে বা বেধড়ক মারধর করে খুন করেছে সে। নিহত প্রত্যেকের ছবি রং–তুলিতে এঁকে তাদের মুখে পেন্সিল দিয়ে অজস্র দাগ কেটেছিল। খুন হওয়া প্রত্যেকের চোখের রং, চুলের স্টাইল এবং কোথায় তাদের সে খুন করেছিল তাও পুঙ্খানুপুঙ্খ জানিয়েছে অভিযুক্ত।

শিকার হিসেবে লম্বা গলার নারীদের প্রতিই আকৃষ্ট হতো লিটল। খুন হওয়া বেশিরভাগ নারীই ছিলেন যৌনকর্মী বা মাদকাসক্ত। তাই তাদের হত্যা নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া হয়নি। হত্যাগুলোকে বেশিরভাগই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা অতিরিক্ত মাদক সেবনের তালিকায় দিয়ে পুলিশও সে সময় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়নি। 

আসলে ওহাইও'র বাসিন্দা লিটল'র বিরুদ্ধে প্রথমে ১৯৭০-২০০৫ সালের মধ্যে পাঁচজন নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠে।

২০১২ সালে কেন্টাকির ভবঘুরে আবাস থেকে তাকে গ্রেফতারের পর ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রত্যর্পণ করে আনা হয়। এফবিআই জানিয়েছে লিটল্‌–এর বিরুদ্ধে প্রথমে নার্কোটিক্স আইনে অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় তার ডিএনএ–র সঙ্গে মৃত তিন নারীর ডিএনএ রিপোর্ট মিলে যাওয়ার পরই তার সাজা হয়। যদিও বরাবরই নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি করে এসেছিল লিটল। 

ব্ল্যান্ডের অনুমান, ৬০ নয় কমপক্ষে ৯৪টি খুন করেছে লিটল। তার কাছ থেকে সন্ধান পেয়ে এফবিআই সম্প্রতি লিটল'র আঁকা সব ছবি প্রকাশ করেছে। এফবিআই–এর আশা, নারীদের ছবি দেখে ঘনিষ্ঠজনেরা শনাক্ত করলে কিনারা না হওয়া মামলাগুলো নতুন করে খুলে তদন্তের কিনারা করা সম্ভব হবে।