সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিএনপি জামায়াত ঐক্যফ্রন্ট
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:২৩ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করেন তিনি।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টের মিথ্যাচারের ভয়াবহতা এতই প্রকট হয়ে উঠেছে যে তাদের মনগড়া, বিকৃত, বাস্তবতাবিবর্জিত অপপ্রচার রাজনীতির ময়দান ছেড়ে আমাদের জাতিগত গর্ব ও আত্মমর্যাদার স্মারক জাতীয় সেনাবাহিনী পর্যন্ত গড়িয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, দেশপ্রেমিক, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী আজ বিশ্বশান্তি রক্ষায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের মর্যাদা উজ্জ্বল করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আপনারা দেখেছেন; ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডা. জাফরুল্লাহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে কিভাবে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছেন। পরে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতিও দিয়েছিলেন তিনি। আর এখন সেনাবাহিনীর নামে বিভিন্ন ভুয়া ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক আইডি খুলে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।’
আব্দুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের ষড়যন্ত্র নতুন নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মিথ্যা ক্যুর নামে তথাকথিত সামরিক ট্রাইব্যুনালে প্রহসনের বিচারে শত শত মুক্তিযোদ্ধা, সেনা কর্মকর্তা ও হাজার হাজার সেনা সদস্যকে হত্যা করেছেন। প্রতিদিন নাশতার টেবিলে বসে অবৈধ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শত শত সেনা সদস্যের ফাঁসির রায় স্বাক্ষর করতেন। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট সব সময় সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছে।’
বিবেকের আয়নার সামনে দাঁড়ালে ড. কামাল হোসেন নিজের পাশে ইয়াহিয়া খানকে দেখতে পারবেন—এমন মন্তব্য করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের নেতা পাকিস্তানপ্রেমী ড. কামাল হোসেন সোমবার তাঁর সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরের গণহত্যাকারী ইয়াহিয়া খানের নাম উচ্চারণ করেছেন। বিবেকের আয়নার সামনে দাঁড়ালে ইয়াহিয়ার পাশে নিজেকে দেখতে পাবেন তিনি। ড. কামাল হোসেন এখন পাকিস্তানি ভাবধারার অনুসারীদের অভিভাবক। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মেজর খালেদ মোশাররফ, কর্নেল তাহের, জামিলসহ শত শত সেনা কর্মকর্তার হত্যাকারী, ২১ আগস্টের হামলাকারী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের পৃষ্ঠপোষক।’ বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নিজেদের লোক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও সহিংসতা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগে ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভেতরে যুদ্ধাপরাধী রয়েছে—এটা শুধু একটা বলার জন্য বলা কথা। আওয়ামী লীগের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী আলিমকে কেউ খুঁজে পাবে না, আওয়ামী লীগের মধ্যে মুজাহিদ এবং নিজামীকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়েছে, সেই বিচারের রায় হয়েছে। এ রকম কোনো যুদ্ধাপরাধী আওয়ামী লীগের মধ্যে যদি থেকে থাকে তাহলে বিএনপির ট্রাইব্যুনালের আশ্রয় নেওয়া উচিত ছিল। ট্রাইব্যুনালের আশ্রয় না নিয়ে এ ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যাচার করা জাতির জন্য লজ্জাকর এবং এটা আমাদের কাছে হাস্যকর ব্যাপার।’
