নেইমার কি আসলেই ধর্ষণ করেছিলেন?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ৮ জুন ২০১৯ শনিবার

নেইমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী নারীর একান্ত ব্যক্তিগত বার্তা প্রকাশের অভিযোগ ওঠার পর তার সঙ্গে কথা বলেছে দেশটির পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পিএসজির এই ফরোয়ার্ডকে যেতে হয়েছিল রিও দে জেনেইরো পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে নেইমার কি আসলেই ধর্ষণ করেছিলেন?
নাজিলা ত্রিনদাদে মেন্দে দি সৌজা নামের ওই নারীর অভিযোগ, গত ১৫ মে প্যারিসের একটি হোটেলে নেইমার তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে সাও পাওলোতে যেখানে দি সৌজা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন। নাজিলার মেডিকেল পরীক্ষা করা চিকিৎসক বৃহস্পতিবার সাও পাওলোর পুলিশকে তার প্রতিবেদন দেন।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন জানায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ওই নারীর অনুমতি না নিয়ে প্রকাশ করা ছবি এবং বার্তার বিষয়ে কথা বলতে কর্তৃপক্ষ নেইমারকে ডেকেছে।
নেইমার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে যা হয়েছিল, দুজনের সম্মতিতেই হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, তিনি ওই নারীর বার্তাগুলো প্রকাশ করেছিলেন এটা দেখাতে যে, কথিত ধর্ষণের ঘটনার পরও তিনি তাকে বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠান।
ওই নারী ব্রাজিলের একটি টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, নেইমারের সঙ্গে যৌন মিলনে তার সম্মতি ছিল, কিন্তু যখন তিনি বলেন এটা করতে পারবেন না কারণ নেইমারের কাছে কোনো কনডম নেই, তখন সে ‘আগ্রাসী’ হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, যখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কনডম এনেছে কিনা, সে বলল-না। আমিও তাকে বললাম তাহলে কিছু হবে না। কিন্তু সে কথা শুনল না এবং ওই ঘটনা ঘটাল। আমি তাকে বললাম থামো, থামো, না! থামো, কিন্তু সে বেশি কিছু বলল না, শুধু ওই কাজই করল।
এর আগে ২৬ বছর বয়স্ক ওই নারী যৌন হয়রানির রাতের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নেইমার ও অভিযোগকারী নারী ওই হোটেলের একটি কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে তারা দুজন গল্প করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই নারী নেইমারকে আঘাত করা শুরু করেন। এসময় তাকে আঘাত করতে নিষেধ করতে থাকেন নেইমার। তারপর ওই নারী বলেন, আমাকে আঘাত করতে যাচ্ছো তুমি। তাহলে আমি কী করবো? আমিও তোমাকে আঘাত করবো।
ওই ঘটনার পর নাজিলা ত্রিনদাদে জানান, গত ১৫ মে রাতে ফ্রান্সের প্যারিসের একটি হোটেলে ঘটনাটি ঘটে। তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় তখন সেখানে কোনো অভিযোগ করেননি তিনি। দেশে ফিরে গত শুক্রবার (৩১ জুন) ব্রাজিলের সাও পাওলোতে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।