বৃটিশ শাসনে প্রস্তুত টাইগাররা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ৮ জুন ২০১৯ শনিবার

এবারের বিশ্বকাপে শিরোপার অন্যতম দাবিদার ইংল্যান্ড। সেই মিশনের তৃতীয় ম্যাচে কার্ডিফে রোববার মরগান-রুটের ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি বাংলাদেশের। দুই দলেরই এটি তৃতীয় ম্যাচ।
বাংলাদেশের প্রত্যাশার পারদ এ বিশ্বকাপে সবচেয়ে উঁচুতে। এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে বলা হচ্ছে সবচেয়ে অভিজ্ঞ। পাশাপাশি সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও আশা জাগানিয়া।
টাইগারদের বিশ্বকাপ শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ২১ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২ উইকেটে পরাজিত হলেও ২৪৪ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ লড়াই করেছে দারুণভাবে।
ইংল্যান্ডেরও একই অবস্থা। বাংলাদেশের মতো এটিও তাদের তৃতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল তারা। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ম্যাচে ভাগ্যদেবী সহায় ছিল না বাংলাদেশের। এছাড়া উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের কিপিংয়ে ভুল আর ব্যাটিংয়ে রান আউটের শিকার হওয়া যেন বদলে দিয়েছিল ম্যাচের মোড়। তবে অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটারের সামর্থ্য সবারই জানা।
কার্ডিফে গত দুই ম্যাচে পেসাররা ভালো করায় এ ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে রুবেলের। কার্ডিফের গত দুই ম্যাচে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে অবদান রাখার পাশাপাশি বল হাতে জোড়া উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তিনি দলে থাকলে কমতে পারে একজন ব্যাটসম্যান।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ ছন্দে নেই। গত ম্যাচে দিয়েছিলেন ৫ ওভারে ৪৩ রান। নিতে পারেননি কোনো উইকেট। এছাড়া কাঁধের চোটও রয়েছে। তার বদলে একাদশে ঢুকতে পারেন লিয়াম প্লাঙ্কেট।
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন বরাবরই বাংলাদেশের জন্য লাকি গ্রাউন্ড। ২০০৫ এ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিক দল ইংল্যান্ডকে হারানোটা খুব একটা সহজ হবেনা। ব্যাটিংয়ে জেসন রয়, জো রুট আর ইয়ন মরগানদের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশের বোলাররা।
তামিম ইকবালদের মুখোমুখি হতে হবে জোফরা আর্চারের গতি আর সুইংয়ের। অলরাউন্ডার বেন স্টোকস একাই পারেন ম্যাচের রং বদলে দিতে।
তবে ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এজন্য কার্ডিফের মাঠ অপেক্ষায় থাকবে টাইগারদের আরেকটি থাবার জন্য। যে থাবায় পরাস্ত হবে ইংলিশরা। সব মিলিয়ে ব্যাটিং,বোলিং, ফিল্ডিং প্রত্যেকটা বিভাগে একসঙ্গে পারফর্ম করতে পারলে আত্মবিশ্বাসী টাইগারদের বৃটিশ শাসন করতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।