টাইফয়েড জ্বর কেন হয়?
স্বাস্থ্য ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ৩০ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আমাদের দেশে টাইফয়েড বেশ প্রচলিত একটি জ্বর। কেন এই জ্বর হয়, এ বিষয়ে কথা বলছেন ডা. কে এফ এম আয়াজ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একজন মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় কেন?
উত্তর : আমি একটু স্মরণ করব আমার শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক রফিক উদ্দিন স্যারকে। স্যার একটি কথা বলতেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের দুটি জ্বরে চিকিৎসা জানলে তুমি ডাক্তারি করে খেয়ে-পরে থাকতে পারবে।’ কোনটি ভাইরাস, কোনটি টাইফেড জ্বর—সেটি বুঝতে হবে। কারণ, এর প্রকোপ এত বেশি আমাদের দেশে যে এটি নির্ণয় করা খুব জরুরি।
আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, তাতে ফিরে আসি। টাইফয়েড আসলে পানীয় খাদ্যবাহিত রোগ। অর্থাৎ সালমোনিলা টাইফি, প্যারাটাইফি এ ও বি জীবাণুগুলো সাধারণত খাবার ও পানি থেকে আসে, বিশেষ করে পানি। যদি ঠিকমতো ফুটানো পানি না পেয়ে থাকে, সেইটার মাধ্যমে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলি, অনেকেই বলেন, ‘আমি তো স্যার বাইরের খাবার খাই না, খেলেও গরম খাবার খাই।’ উদাহরণ হিসেবে বলে, ‘আমি তো স্যার ফুসকা-চটপটি খাই, সেটি তো আমাকে গরম করেই দিচ্ছে।’ আমি বলি, ‘ভালো। তবে সঙ্গে টকটা নেন না? ওই টকের পানি যেখান থেকে আসে, সেখান থেকে সমস্যা হতে পারে।’ সেখানে তো কয়েক ফোঁটা পানিই যথেষ্ট। তার সঙ্গে আমি আরেকটি বিষয় বলি। আমার বাসায় আমি পানি ফুটিয়ে খাই বা আমি পানি ফিল্টারে দিয়ে খাই, ঠিক আছে। তবে আমি পানি কতক্ষণ ফুটাই। এটা জানা খুব জরুরি। বলক ওঠার পর ৩০ মিনিট না ফুটলে জীবাণুটা কিছু হয় না। আমি পানি ফুটাতে দিলাম, ১০ মিনিট বলগ উঠালাম, নামিয়ে ফেললাম, তাহলে জীবাণু তো মরবে না। এই সোর্স হলো টাইফয়েডের জীবাণু ছড়ানোর সোর্স। এগুলোকে প্রতিরোধ করাই হলো টাইফয়েড ঠেকানোর উপায়।