রোববার   ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৯ ১৪৩২   ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চুলের আগা ফাটা রোধে করণীয়

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ২৯ মে ২০১৯ বুধবার

চুলের ডগা ফেটে যাওয়া অনেক বড় একটা সমস্যা। চুলের ডগা ফাটা থেকে পুরো চুলই খারাপ হয়ে যেতে পারে। মোলায়েম ঘন কালো চুল কারই বা পছন্দ হবেনা, কিন্তু চুলের যত্ন নেয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশিরভাগ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারে এতটা পরিমাণ রাসায়নিক ব্যবহৃত হয় যে, চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়না। তার ফলে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়, চুল খুব পাতলা দেখায়, এমনকি চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তবে এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি আপনাকে বেশ উপকার দিতে পারে। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক পদ্ধতিগুলো- 

দুধ
চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় দুধের উপকারিতা অনেক। আমন্ডজ মিল্ক, সোয়া মিল্ক বা কোকোনাট মিল্ক আপনার ক্ষতিগ্রস্ত চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে বেশ কার্যকর।

মধু
মধু আসলে চটচটে হলেও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার থাকে। সামান্য দুধ এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস সহযোগে মধুর প্যাক তৈরি করে চুলে মাখলে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে ক’দিনের মধ্যেই। 

 

ডিমের মাস্ক
ডিমের মধ্যে প্রচুর প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যসিড থাকে। ফলে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যায় এটি খুবই ভালো কাজ করে। চুলকে মসৃণ এবং ঘন করতে ডিমের জুড়ি নেই। শুধু মাত্র তেলের সঙ্গে ডিম ফেটিয়ে নিয়ে ভালোভাবে মাথায় মেখে আধঘন্টা পরে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

নারকেল তেল
অন্তত তিন দিন নারকেল তেল উষ্ণ করে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে ম্যাসেজ করুন এবং পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

দই
দইয়ের মধ্যে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন থাকে। দইয়ের সঙ্গে ডিম বা অন্য যেকোনো প্রোটিনযুক্ত তেল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মাখলে উপকার পাওয়া যায়।

কলা
পাকা কলার মধ্যে প্রচুর পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। কলাকে ভালভাবে চটকে সামান্য মধু এবং লেবুর রস একসাথে মেখে মাথায় দিয়ে আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।