রোববার   ০৬ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২২ ১৪৩২   ১০ মুহররম ১৪৪৭

সহধর্মিনীতে সুখ চান; ঘরে তুলুন মোটা মেয়ে!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:২৯ এএম, ২৯ মে ২০১৯ বুধবার

প্রতিটি মানুষের কিছু পছন্দ থাকে। কারো পছন্দ চিকন মেয়ে আবার কারো মোটা। তবে এর কারণের যেন শেষ নেই। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় যে ফলাফল দেয়া হয়েছে, তা শুনলে হয়ত আপনারই মাথা খারাপ হবে। তাতে বলা হয়েছে, সহধর্মিনীতে সুখ চান? তাহলে এখনই ঘরে তুলুন মোটা মেয়ে! সে গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, জীবনে সুখী হতে হলে, অবশ্যই মেদওয়ালা মেয়েদেরই বিয়ে করা উচিত।

তবে এর কারণ কী? অনেকের মনে হতে পারে, এটা মোটা মেয়েদের জন্য একটি বিজ্ঞাপন। তা কিন্তু নয়। সত্যি চালানো হয়েছে এই গবেষণা। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন এর কারণও। তাদের মতে, মোটা মেয়েদের তুলনায় চিকন স্বভাবের মেয়েরা অনেকটাই রিজার্ভড হয়। তারা স্বামীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে দীর্ঘ সময় নেয়। তবে মোটা স্বভাবের মেয়েরা নাকি খুব অল্প সময়েই আপন করে নেয় পুরুষদের। এমনকি তারা নাকি স্বামীদের সুখের জন্য সব কিছু করার চেষ্টা করেন। গবেষকরা আরো জানিয়েছে, চিকন স্ত্রীদের তুলনায় তাদের স্বামীদের কমপক্ষে দশগুণ সুখে রাখেন মোটা স্ত্রীরা। এছাড়া তাদের সঙ্গীর চাহিদাও তারা অনেক বেশি ভালো বোঝেন। তাই স্লিম নারীর চেয়ে মেদওয়ালা নারী অধিক ভালো।

তবে অধিকাংশ পুরুষ বিয়ের সময় স্লিম ফিগারের মেয়ে বেছে নেন। তাদের টেস্ট চিকন নারীর প্রতি একটু বেশি। কিন্তু অনেকেই নাকি আবার ভিন্ন টেস্টের নারী পছন্দ করে। তাই তারা মোটা মেয়েদেরকেই বেশি আপন করে। তবে তাড়াতাড়ি আপন করে নেয় বলে নয়, মোটা মেয়েদের ক্ষেত্রে আরো একাধিক গুণাবলী বিদ্যমান। 

 

প্রশ্ন আসতে পারে, এমন কী গুণাবলী রয়েছে মোটাদের মধ্যে? সমীক্ষা বলছে, মোটা মেয়েদের কিছু গুণ রয়েছে, যা রোগা মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। চলুন দেখে নেয়া যাক, কী সেই সুবিধা- 

মোটা মেয়েরা সব সময় সবার কথা ভাবেন, এরা নিজের কথা ভেবে মাথা নষ্ট করেন না। তাদের কাছে পরিবার ও স্বামীর গুরুত্ব অনেক বেশি। এমনকি ফিগার নেই বলে, ওরা স্বামীকে আপন করে নিতে সব ধরনের দায়িত্ব পালন করেন। এরা স্বামীদের অনেক শ্রদ্ধাও করেন। শুধুমাত্র স্বামী নয়, শশুরবাড়ির সমস্ত লোকেদেরই সম্মান দেখান এই নারীরা। সব সময় স্বামী এবং পরিবারকে হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করেন। কারণ, তাদের মাথায় খালি একটাই চিন্তা, রোগাদের (চিকন) শরীর নয় তার। 

রোগা নারীদের চেয়ে মোটা শরীরের নারীরা তাড়াতাড়ি শ্বশুরবাড়ির দায়িত্ব বুঝে নেন। অপরদিকে চিকন শরীরের নারীরা কাজ বুঝে নিতে কিছুটা সময় নেন। মোটারা এটা ভাবেন যে, নিজের বাড়িতে কখনোই কাজ করতে হয়নি বলে এখানে কিন্তু (শ্বশুরবাড়ি) তাকে বসে থাকলে চলবে না, শ্বশুরবাড়ির সব কাজ নিজের মনে করে তাকে চালিয়ে নিতে হবে। বলা হয়, মোটা মেয়েরা নাকি স্বভাবগতই অন্যের সেবা করতে খুব ভালোবাসেন। তাই তারা প্রকৃতিগতভাবে এমন আচরণ করেন। তবে চিকন নারীদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া মুশকিল।

 

কথিত আছে, মোটা মেয়েরা বুদ্ধির ভাণ্ডার। এইটা কোনো মিথ্যা মন্তব্য নয়, ব্রিটিশ শিক্ষকদের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এদের বুদ্ধি নাকি রোগাদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হয়। তাই ঘরে হোক কিংবা বাইরে, সব কাজই নিপূণতার সঙ্গে চালিয়ে নিতে পারেন মোটারা। এর বাইরেও আরেকটি কথা বলতে হয়, মোটা নারীদের ড্রেসিং চয়েস নাকি রোগা মেয়েদের থেকে অনেকগুণে ভালো হয়। কোন ড্রেসে তাদের সবচেয়ে ভালো মানাবে, আর কোনটাই খারাপ দেখাবে তা দ্রুত নির্বাচন করতে পারেন মোটা নারীরা।

সর্বশেষ যে বিষয়ে মোটা মেয়েরা বেশি পারদর্শী, সেটি হলো রান্না। এই দিক থেকে রোগা মেয়েদের তুলনায় অনেকগুণ বেশি পারদর্শী হয় স্বাস্থ্যবান নারীরা। এরা নিজের খাওয়ার থেকে পরিবারের লোকদের খাওয়াতে বেশি পছন্দ করেন। ঠিক মতো খাওয়া হলো কিনা, সেই দিকেও নজর থাকে তাদের। অপরদিকে চিকন নারীরা, চিকন হলেও খান বেশি। তাই তাদের খাওয়ার সময় অন্যের প্রতি নজর থাকে কম। আর মোটাদের রান্নার প্রতি একটা আলাদা টান আছে। ফলে নিত্যনতুন এই ধরনের সুবিধার জন্য এখনই মোটা নারীকে ঘরে তুলুন। মূলত এই গবেষণাটি কিন্তু এই সুবিধাগুলো দেখেই মোটা নারীকে বিয়ে করতে বলেছে।