বুধবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১০ ১৪৩২   ০৪ রজব ১৪৪৭

টিকিট শেষ, যাত্রীদের চাপ বাড়ছে স্টেশনগুলোতে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৩১ এএম, ২৯ মে ২০১৯ বুধবার

ঈদুল ফিতরের আর মাত্র আট দিন বাকি। মুসলমানদের বহুল প্রতীক্ষিত এ ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখী মানুষ। ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। ফলে রাজধানীর রেলস্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে দিনে দিনে বাড়ছে ভিড়। 

মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর ও বিমান বন্দর রেলস্টেশন, গাবতলী, কল্যাণপুর এবং অন্যান্য বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই ঘরমুখো মানুষের চাপ। 

এ দিন রাজধানীর একমাত্র লঞ্চ টার্মিনাল সদরঘাটে দেখা যায় যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়। বিশেষ করে দূরের যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু সদরঘাট নয়, রাজধানী থেকে বহির্গমনের সব পয়েন্টে এখন যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। 

টার্মিনাল ও বাসস্ট্যান্ডগুলোতে ব্যাগ ও সুটকেস নিয়ে শত শত মানুষকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। তবে দূরপাল্লার কোনো কাউন্টারেই ৩০ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। 

রাজধানী ছাড়তে বাস টার্মিনালগুলোর মতো কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ট্রেন এলেই হুমড়ি খেতে দেখা যায় যাত্রীদের। তবে এদিন লোকাল ট্রেনগুলোতে ভিড় ছিল তুলনামূলক বেশি।

 

আব্দুল হামিদ নামের এক বেসরকারি চাকুরিজীবী পরিবার পরিজনকে নিয়ে এসেছেন রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে। প্লাটফর্মে তিনি অপেক্ষা করছেন রাজশাহীর ধূমকেতু ট্রেনের জন্য। ঈদের এখনো প্রায় ৮ দিন বাকি এত আগেই বাড়িতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। ছুটি ছাটার ঠিক নেই। আর ঈদের আগে ভিড়ও থাকে বেশি। তাই আগে ভাগেই পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দিচ্ছি। পরে সুবিধামত আমি যাব।

এদিকে রাজধানীর গাবতলীতে সিরাজগঞ্জ যাওয়ার জন্য শাহজাদপুর ট্রাভেলস বাস কাউন্টারে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসে আছেন রায়হান আলি। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনিও আব্দুল হামিদ মতো একই কথা জানালেন।

ঈদযাত্রা বিষয়ে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মরণ চন্দ্র দাশ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, প্রতিবার টিকিট বিক্রির সময় অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। যাত্রিদেরও অনেক ভোগান্তি হত। কিন্তু এ বছর অনেক স্বস্তিতে টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি এবার ঈদযাত্রাও অনেক স্বস্তির হবে।