শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২   ১৮ জ্বিলকদ ১৪৪৬

কলা চকলেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকর!

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:০৭ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কলা সুস্বাদু একটি ফল। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও সহজলভ্য এ ফলটি যেকোন সময়ই পাওয়া যায়। আমরা সকলেই কম বেশি কলা খেয়ে থাকি। এ কলা প্রচুর ক্যালরি রয়েছে। এটি খেলে দীর্ঘসময় ধরে কোন ক্ষুধা অনুভব হবে না। কলা খাওয়া ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় কোন কিছু খাওয়া ভালো না। তাই কলাও অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে ক্ষতি হয়। কলা কেন বেশি খাওয়া যাবে না? সে সম্পর্কে জেনে নিন-

১. ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কলা খাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবে না। মাঝারি সাইজের একটি পাকা কলাতে ১০৫ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। তাই বেশি কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

২. শুধু তাই নয়, মাইগ্রেনের সমস্যায় যারা ভুগছেন। তাদেরও কলা খাওয়া ঠিক নয়। কলায় টাইরামিন নামক এক ধরণের উপাদান থাকে। যাকে মাইগ্রেনের কারণ বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও হাইপার ক্যালেমিনিয়া থাকলে বা রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে এ রোগ হয়। যেহেতু কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে তাই এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও যাদের হার্ট দুর্বল তাদের কলা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

 

৩. দাঁতের ক্ষয় করতে পারে কলা। কলায় বেশি শর্করা থাকায় বেশি পরিমাণে কলা খেলে তা দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। কলা চকলেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকারক। এছাড়া অতিরিক্ত কলা খেলে শরীরে বেশি ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

৪. পাকা কলাতে ক্রিপটোফেন অ্যামাইনো এসিড থাকে। এ অ্যামাইনো এসিডের প্রভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ফলে দেহে ক্লান্তি আসেও সব সময় একটা ঘুম ঘুম ভাব হয়।

৫. এছাড়াও অতিরিক্ত কলা খেলে নার্ভের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় কলা খেলে শরীরে ভিটামিন বি৬ বেশি পরিমাণে প্রবেশ করে। যার ফলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে।

৬. আবার কলা অনেক সময় অ্যালার্জির কারণও হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে ঠোঁট ফুলে যায়, গলা জ্বালা করে, শাঁস নিতে কষ্ট হয়, তাই যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তাদের কোনো ভাবেই কলা খাওয়া যাবে না। ৭. বাজার থেকে কেনা কলা বেশির ভাগই রাসায়নিক উপাদান দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে। তাছাড়াও কলাতে শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি। তাই কলা বেশি খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে। সারাদিনে একটার বেশি কলা না খাওয়াই ভালো।

 

৮. কনস্টিপিউশনের জন্য কলা খাওয়া ভালো। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে কনস্টিপিউশনের সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে। কলা বৃহদন্ত্রের চলনে সাহায্য করে থাকে। তবে অতিরিক্ত কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

৯. যাদের এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদেরও অতিরিক্ত কলা খাওয়া ঠিক নয়। কলাতে থাকা ফুট্রোজ ও ফাইবার একসঙ্গে এসিডিটির সমস্যা তৈরি করতে পারে।

১০. ডায়বেটিস রোগীদের সুগারের মাত্রা বেশি থাকায় অতিরিক্ত মাত্রায় কলা খাওয়া যাবে না। তাহলে এর প্রভাব কিডনিতে পড়বে। এর ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যেতে পারে।