মঙ্গলবার   ১০ জুন ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২৬ ১৪৩২   ১৩ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

হাড়ক্ষয় এড়াতে করণীয়....

স্বাস্থ্য ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:০৬ পিএম, ২৩ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

অস্টিওপোরেসিস বা হাড়ক্ষয় এমন একটি রোগ যা ধীরে ধীরে ক্ষতিসাধন করে। অনেকেই এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়। আর আক্রান্ত হয়ে গেলে কোনো চিকিৎসাতেই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয় না। নারীরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তবে বর্তমানে পুরুষরাও এ রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি রোগে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বাড়ে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে কিছু তথ্য-

হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি যাদের বেশি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়। তাছাড়া যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না, উচ্চতা অনুসারে যাদের ওজন কম, যারা নিয়মিত পরিমাণমতো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি সেবন করেন না, ধূমপায়ী ও মদ্যপান করেন, ইস্ট্রোজেন, টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে, থাইরয়েড ও প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেশি হলে হাড়ক্ষয়ের প্রবণতা বাড়ে।
 
প্রতিকার
অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগ প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকার উত্তম। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, নিয়মিত ব্যায়ামে হাড়ের শক্তি বাড়ে। এতে হাড়ের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে জয়েন্টগুলো সচল রাখে। শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে হাড়ক্ষয় কমায়।

ওষুধ সেবন
হাড়ের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি। তাই নিয়মিত পরিমাণমতো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার সেবন করুন। ক্যালসিয়ামের জন্য নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার সেবন করুন। ভিটামিন-ডি এর ৯০ ভাগ উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। তাই প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন, পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খান। এতে হাড় ভালো থাকবে।

সতর্কতা
ধূমপান ও মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিকস, লিভার, কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। হাড় ভাঙা রোধে বাথরুমে পিচ্ছিল ভাব দূর করুন। রাতে ঘরে মৃদু আলো জ্বালিয়ে রাখুন। অন্ধকারে চলাফেরা করবেন না। অতিরিক্ত ওজন বহন করবেন না। এ ছাড়া কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।