1. প্রচ্ছদ
2. বিনোদন

দুই  দশক বলিউডের সঙ্গীত দুনিয়া শাসন করেছেন তিনি। বহু জনপ্রিয় হিন্দি গানে তাঁর গলা মাতিয়ে রেখেছে আসমুদ্রহিমাচল। সেই সোনুর কথাতেই এবার কেঁপে উঠল দেশ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে এসে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সোনু বললেন, ‘‘মাঝে মাঝে মনে হয়, পাকিস্তানের বাসিন্দা হলেই ভাল হতো। তা হলে ভারতে গাওয়ার ডাক পেতাম।’
 
এখানেই শেষ নয়। ভারতীয় প্লে ব্যাক সিঙ্গারদের সর্বনাশ দেখতে পাচ্ছেন সোনু। তাঁর বক্তব্য, এখন গায়কদেরই উলটে মিউজিক কোম্পানিগুলিকে টাকা দিতে হয়। না হলে পর্যাপ্ত মাইলেজ পাওয়া যাবে না।

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে হাজির হয়ে সোনু নিগম বলেন, কোনো শো'র জন্য যদি ভারতীয় গায়কদের সঙ্গে মিউজিক কোম্পানিগুলি চুক্তি করে, তাহলে প্রথমে সেই গায়কের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ নেওয়া হয়। তারপর চালানো হয় সেই গায়কের গান। আর যদি সংশ্লিষ্ঠ গায়ক সেই অর্থ রাজি না হন, তাহলে তার পরিবর্তে অন্য কারও গান শো-এ চালানো হয়। এবং সেই গান জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর তার কাছ থেকেও নেওয়া হয় অর্থ।

এরপরেই সোনু বলেন, কিন্তু পাকিস্তানি গায়কদের সঙ্গে এমন কোনও ব্যবহার করা হয় না। আতিফ আসলাম বা রাহাত ফতেহ আলি খানের সঙ্গে কখনও এমন ধরনের ব্যবহার ভারতীয় মিউজিক কোম্পানিগুলি করে না। ভারতের মাটিতে পাক গায়কদের যেভাবে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, তাতে মাঝে মধ্যে আমার মনে হয়, তারও পাকিস্তানি গায়ক হওয়া উচিত ছিল। তাহলে ভারতের কাছ থেকে গানের গাইবার ভাল প্রস্তাব পেতেন।

বলিউডের জনপ্রিয় এই গায়কের মন্তব্যের পর থেকেই জোর বিতর্ক শুরু হয়। যদিও এ বিষয়ে পাল্টা কেউ মন্তব্য করেননি সোনু। প্রসঙ্গত, এর আগে আজান বিতর্কে মুখ খুলে একাধিক আক্রমণের মুখে পড়েন সোনু। এমনকি, বলিউডের এই গায়কের মাথা মুড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি সংগঠনের তরফে। যার জেরে নিজেই নিজের মাথা মুড়িয়ে ফেলেন সোনু নিগম। ওই বিতর্কের পর এবার ফের পাক গায়কের নিশানা করে তোপ দাগলেন বলিউডের এই তারকা।