যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আহ্বান সৌদি পত্রিকার
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ১৮ মে ২০১৯ শনিবার

সৌদি আরবের দু'টি তেল পাম্পে ড্রোন হামলা এবং আরব আমিরাত উপকূলে তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর আহ্বান জানিয়েছে আরব নিউজ।
রাজধানী রিয়াদ থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, শাস্তি থেকে রেহাই পেতে পারে না ইরান। এছাড়া ইরানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরব নিউজের দৃষ্টিতে সেক্ষেত্রে যৌক্তিক পদক্ষেপ হতে পারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র নজির স্থাপন করছে এবং সেটা কার্যকরও হয়েছে।
পত্রিকাটি জানায়, মঙ্গলবার দু'টি তেল পাম্পে সশস্ত্র ড্রোন হামলা ও তার দু'দিন আগে আরব আমিরাত উপকূলে তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে ইরান ও দেশটির ছায়াবাহিনী মারাত্মক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এ ব্যাপারে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া উচিত।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সৌদি আরবেই না, পুরো অঞ্চল কিংবা বিশ্বের জন্য ইরানের হুমকির বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের বারবার সতর্ক করে আসছে রিয়াদ। ২০১৬ সালের শেষের দিকে মার্কিন নৌবাহিনীতে তিনবারের হামলার আগে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হুমকির বিষয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বুঝতে পারেননি।
সৌদি পত্রিকাটি বলছে, বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে দিতে কিংবা নতুন করে যাতে ভীতিপ্রদর্শন করতে না পারে, সেজন্য ইরানকে ছাড় দেয়া যাবে না।
সৌদি পত্রিকাটি আরও জানায়, আমরা বর্তমানে ২০১৯ সালে রয়েছি। কিন্তু অত্র অঞ্চলে তার ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। কখনো সেটা সরাসরি নিজেই আবার কখনো-বা তার সশস্ত্র ছায়া বাহিনীর মাধ্যমে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইরান।
‘কাজেই সৌদি যুবরাজ এক্ষেত্রে সঠিক কথাই বলেছেন যে প্রশমিতকরণ শব্দটি ইরানের ক্ষেত্রে খাটবে না, যেভাবে হিটলারের বেলায়ও তা কাজে লাগেনি।’
পত্রিকাটির সম্পাদকীয় বলছে, আরব নিউজের দৃষ্টিতে সেক্ষেত্রে যৌক্তিক পদক্ষেপ হতে পারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র নজির স্থাপন করছে এবং সেটা কার্যকরও হয়েছে। যেমন, যখন বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট আসাদ সাইরেন গ্যাস ব্যবহার করছিলেন, তখন সিরিয়ায় আক্রমণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
‘আমাদের যুক্তি হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা ইরানকে সঠিক বার্তা দিচ্ছে না। তাদের কঠোর আঘাত হানা উচিত। তাদের দেখানো উচিত এখনকার পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। আমরা সুনির্দিষ্ট শান্তিমূলক প্রতিক্রিয়া চাচ্ছি, যাতে ইরান বুঝতে পারে যে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
আরব নিউজ জানায়, কাজেই এখন সময় এসেছে, কেবল ইরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টানাই নয়, বিশ্বের স্বার্থে তারা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ককে সহায়তা না করে, তা নিশ্চিত করা।