মঙ্গলবার   ২৬ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ১১ ১৪৩২   ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ধর্ষণ এড়াতে বাজারে বিশেষ শাড়ি, কী আছে এতে?

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ১৬ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত হচ্ছে সমাজ, উন্নত হচ্ছে দেশ। কিন্তু মানসিকতায় এখনো আসেনি বিশেষ পরিবর্তন। তাই আজও ধর্ষণ-নির্যাতন চলছেই। আবার কুমানসিকতা ব্যক্তিদের দাবি- পোশাকই নাকি ধর্ষকের জন্ম দেয়! সমাজের সেই সব মানুষের চিন্তাধারায় সজোরে ধাক্কা দিতে বাজারে এলো নতুন এক শাড়ি!  যা ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম যে কোনো পরিস্থিতিতে!

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল দিল্লির ঘটনার একটি ভিডিও। যেখানে এক নারীকেই স্পষ্ট বলতে শোনা গিয়েছে, খাটো পোশাকের মেয়েদের ধর্ষণ করা উচিত। 

আরো মজার বিষয় হলো নারীর সপক্ষে অনেকেই সুর চড়িয়ে বলেন, খাটো পোশাক সত্যিই ধর্ষণের অন্যতম কারণ। অর্থাৎ তাদের মতে, নারীরা আরো মার্জিত-ঢাকা পোশাক পরলেই ধর্ষণ সমস্যার সমাধান হবে। হায়! যদি এমনটাই হত, তবে তিন মাসের শিশুর ধর্ষণের খবর কি আর শিরোনামে উঠে আসত? কিংবা বোরখা পরিহিতার গায়ে কি কখনো যৌন হেনস্থার আঁচ লাগত? সেসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য অধরা।

এ প্রসঙ্গ আপাতত থাক। তবে খাটো পোশাকের পালটা দিতে তরুণদের একটি দল হাজির করেছে ‘সুপার সংস্কারি শাড়ি’। নিজেদের ওয়েবসাইটে এই অদ্ভুত শাড়ির কথা ব্যাখ্যা করেছে তারা। তবে পুরোটাই মজা করে। তাদের মতে, পোশাকই যদি ধর্ষণের কারণ হয়, তবে এমন শাড়িই মহিলাদের পরা উচিত। তাহলেই মুশকিল আসান। মূলত দিল্লির ওই ঘটনার বিরোধিতা করতেই এমন উদ্যোগ।

ওয়েবসাইটটিতে শাড়ির বিবরণে লেখা রয়েছে, এই পোশাকে রয়েছে ধর্ষণ-প্রতিরোধক প্রযুক্তি। শাড়িটি পরলে ধর্ষক ওই নারীকে দেখতেই পাবেন না। বিকৃত মানুষদের হাত থেকে বাঁচতে এই অত্যাধুনিক শাড়ি অবশ্যই নিজের কালেকশনে রাখুন। যখন আপনাকে দেখাই যাবে না, তখন ধর্ষণের কোনো আশঙ্কাও থাকবে না। যদিও বাস্তবে এ শাড়িতে এমন কিছুই নেই। আসলে মজার ছলেই সমাজের সেই সব মুখোশ পরা মানুষদের কটাক্ষ করতে চেয়েছে তরুণদের এই দল। হিংসাত্মক পথে না হেঁটে প্রতিবাদ জানিয়েছে হাস্যরসের মাধ্যমে৷

ওয়েবসাইটে বলা আছে, শাড়িগুলো অনলাইনে অর্ডারও করা যাবে। ১০০, ২০০, ৫০০ টাকা – নানা মূল্যের শাড়ি রয়েছে। তবে নিছকই ব্যবসার জন্য শাড়িগুলো তারা বিক্রি করছে না। এই অর্থ সমাজের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য ব্যবহার করা হবে। যাতে হিংসার বিরুদ্ধে নিজেরাই রুখে দাঁড়াতে পারে তারা। তাই এই অর্থকে অনুদান বলতেই আগ্রহী ওই তরুণরা।