রাশিয়ার পর সবচেয়ে বড় নৌ-মহড়া তুরস্কের
নিউজ ডেস্ক:
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৪৯ পিএম, ১৫ মে ২০১৯ বুধবার

রাশিয়ার পর এবার সুবিশাল নৌ-মহড়া শুরু করেছে তুরস্ক। দেশটির নৌবাহিনী ১৩১টি জাহাজ, ৫৭টি এয়ারক্রাফট এবং ৩৩টি হেলিকপ্টার নিয়ে ১৩ দিনব্যাপী এই অস্ত্র প্রদর্শনীতে নেমেছে।
বলা হচ্ছে, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ নৌ-মহড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় সকালে দেশের সীমান্ত এলাকার তিনটি সমুদ্র মিলিয়ে ‘দেনিজকোরদো-২০১৯’ নামে এ মহড়া শুরু করা হয় বলে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রোণালয় জানায়।
ব্ল্যাক, এজেন এবং ভূমধ্যসাগরের বুকে নৌ-সক্ষমতা প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। আর এই আয়োজনে পর্যায়ক্রমে অংশ নেবে তুর্কি নৌবাহিনীর প্রায় ২৫ হাজার ৯০০ সৈনিক।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রোণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মহড়া বা ব্যায়ামের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশের নিরাপত্তা সংকটের সময়ে নৌবাহিনীর ইউনিটগুলোর মধ্যে সমন্বয় উন্নয়ন করা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, তুরস্কের এই নৌ মহড়ার আরো উদ্দেশ্য রয়েছে। তা হলো- সংটকে বাস্তব পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, কৌশলগত এবং কার্যকরী চর্চা থেকে তুর্কি নৌবাহিনী যেনো তার ধারণা নেয়। একইসঙ্গে নৌবাহিনী যেনো সংকট পরিস্থিতির অনুকরণ করতে পারে। পাশাপাশি দেশের সব যুদ্ধজাহাজ এবং অ্যান্টি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পরীক্ষা চালানোও এ মহড়ার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য।
এর আগে গেল ফেব্রুয়ারিতেও এই তিন সমুদ্রেই সামরিক মহড়া চালিয়েছিল তুরস্ক। তখন এতে অংশ নিয়েছিল ১৩০টি জাহাজ। এই মহড়ার পর বর্তমানেরটিই সবচেয়ে বড় বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
তুরস্ক দিনদিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে যাচ্ছে। দেশটি ক্রমাগত আধুনিকীকরণ অস্ত্র বাড়াচ্ছে এবং সামরিক বাহিনীকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে শত্রু মোকাবিলায় তৎপর করছে। বিশেষ করে তুর্কি নৌবাহিনীর প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে গেল বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালিয়েছিল রাশিয়া। দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হয়ে যাওয়া সুবিশাল এই মহড়ায় প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র এবং অন্যতম পরাশক্তি চীনও অংশ নিয়েছিল। এছাড়া ‘ভোস্তক-২০১৮’ নামের এ মহড়াটিতে তিন লাখের মতো রুশ সৈন্য অংশ নেয়।
এমন শক্তি প্রদর্শনের কারণ ব্যাখ্যা করে তখন ক্রেমলিন বলেছিল, উত্তেজনাকর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি প্রায়শই রাশিয়ার প্রতি বৈরি ও আগ্রাসী হয়ে উঠে।